এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই আশীর্বাদের চিঠি এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নুর।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাঙচুর করেছে। সেই আশীর্বাদের চিঠির জন্যই হাসান মামুন ও তার সমর্থকরা এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আজকে গলাচিপা-দশমিনার ঘটনা থেকেই আমরা বলতে পারি সারা বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি চলছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে সেটি বিএনপির জন্য অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিতে পারে।
নুর বলেন, হাসান মামুনের অনুসারীরা অভিযোগ করছেন- বিএনপির অফিস নাকি ভাঙচুর করা হয়েছে। বিএনপি এত বড় একটি দল, কার সাহস আছে তাদের অফিস ভাঙচুর করার। এই হাসান মামুনের মতো বিতর্কিতদের জন্য দলের নেতাকর্মীরা আজ উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছে। আমরা হামলার শিকার হয়েছি, আমার নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। আমার কর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। আবার শুনেছি আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়রদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, দশমিনা, গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিলে বিএনপির হাসান মামুনের সমর্থকরা হামলার প্রস্তুতি নেওয়ায় তাদের নিবৃত্ত করতে না পেরে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এটি প্রশাসনের ব্যর্থতা। এই অক্ষমতা প্রশাসন কাটিয়ে উঠতে না পারলে আগামীতে এদের দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুলিশ প্রশাসন যদি এখনো কোমর শক্ত করে দাঁড়াতে না পারে তবে নির্বাচন পরিচালনায় তারা ব্যর্থ হবেন।
পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপার সামগ্রিক পরিস্থিতি উপস্থাপন করতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের জেলা, উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।