এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকেরের ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।
সারজিস আলম তার পোস্টে বলেন, খাইরুল বাকেরের নামে বেনামে রয়েছে অত্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি! এলাকাবাসীর দাবি খাইরুল বাকের আনুমানিক ১৫০০ কোটি টাকার মালিক। নিকটাত্মীয়দের সিন্ডিকেট করে ৫ ভাই, ২ ছেলে ও স্ত্রী জেবুন নাহারের নামে ঢাকা এবং নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অন্তত ১৩ টি বাড়ী ও ৬০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে একাধিক পোস্ট ও কমেন্ট করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত ও প্রতিহত করার চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি এই খাইরুল বাকের।
তিনি ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তারা ৬ ভাই। তার বাবা মিন্নত আলী ছিলেন নৌকার মাঝি, তার বাবা খেয়া পারাপারসহ কুলির কাজও করেছেন। দিন এনে দিন খাওয়া এই খাইরুল বাকের ২০০১ সালে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হিসাবে যোগদান করার পর থেকে যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাযন। তারপর থেকেই তার স্ত্রী ও ৫ ভাইয়ের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হতে থাকে।
সারজিস বলেন, খাইরুল ৫ পার্সেন্ট কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন দিতেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে খাইরুল বাকের ছিলেন নরসিংদী বেলাবো- মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থদাতা। স্বৈরাচার সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে ছিলো তার ঘনিষ্ঠতা।
সাবেক এই মন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় খাইরুল বাকেরের অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করারও অভিযোগ উঠে। খাইরুল বাকের বেলাবো ও মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্থদাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত।
তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে খাইরুল বাকের চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শহীদ তারেক হুদা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে (চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই আওয়ামী দোসর ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পরেও রয়েছেন স্বপদে বহাল।
এখন আবার ভোল পাল্টে অন্য দলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে পদোন্নতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার ধান্দা করছেন! এসব ডাকাতদের চেয়ারে বসিয়ে রেখে কিভাবে সংস্কার সম্ভব?