নিউজ ডেস্ক : শিশু হত্যায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত দেড় মাসে ৪৫ শিশুকে শুন করা হয়েছে। দেশে সম্প্রতি শিশু হত্যা ও অপহরণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।
এর মধ্যে চলতি মাসের ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৭ দিনেই হত্যাকান্ডে শিকার হয়েছে অন্তত ১৪ শিশু। গত মাসে এই সংখ্যা ছিল ২৯। আর গত দেড় মাসে হত্যা করা হয়েছে ৪৫ শিশুকে। দেশে একের পর এক এই শিশু হত্যার ঘটনা অতীতের যে কোনো সময়কে হার মানিয়েছে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল স্বাক্ষরিত এবং ফাতেমা ইয়াসমিনের পাঠানো প্রেস রিলিজে এই তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, অপরাধীরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুদের সহজ লক্ষবস্তুতে পরিণত করছে। এ ছাড়া জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় শিশু হত্যার ঘটনা বাড়ছে।
তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো অপরাধ প্রতিরোধ করতে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সচেতনতাই পারে কেবল এই ধরনের সংকট থেকে উদ্ধার করতে।
সরকারকে শিশু নির্যাতন ও হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আরো শক্ত পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানান তিনি। শিশুদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শিশু সনদের আদলে ২০১৩ সালে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করারও আহ্বান জানান তিনি।
সংস্থাটি এর কারণ হিসেবে সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়, বেকারত্ব, অনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব, অনলাইন প্রযুক্তির কু-প্রভাব, পর্ণোগ্রাফির প্রসার, অনৈতিক জীবন-যাপন, পাচার, বিরোধ-শত্রুতা, ব্যক্তি স্বার্থপরতা, লোভ, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি ইত্যাদিকে নির্ণয় করেছে।
সংস্থা এসব ঘটনাগুলোকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে।
সেই সাথে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনকে আরো জোরদার, স্কুল পর্যায়ে কাউন্সিলিং, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আরো সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেবার সুপারিশ করেছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস