শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ০৯:১৭:২৩

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ময়মনসিংহে ফুলপুর ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফুলপুরে যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রে বাসের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া তারাকান্দায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংর্ঘষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। 

শুক্রবার (২০ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম।

জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ সড়কের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরারপার এলাকায় যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রে বাসের ধাক্কায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। 

আহতদের মমেক হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরর্দার। তিনি জানান, গুরুতর আহত আরও দুজন মমেক হাসপাতালে চিকিৎসধীন অবস্থায় মারা যান। 

এ দিকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ৬ জনের পর ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও মমেক হাসপাতালে আরও দুজন মারা যান। 

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস হালুয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাজিয়াকান্দা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রর সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্য থেকে আরও ৩ জন হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। 

মমেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক উদ্দিন বলেন, ফুলপুরে বাস ও মাহেন্দ্র দুর্ঘটনায় মমেক হাসপাতালে আহত ৬ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে হাসপাতালে আসার পরেই অজ্ঞাত একজন এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পারভেজ (৪৫) নামের মাহেন্দ্র চালক মারা যান। 

এর আগে এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজার-সংলগ্ন হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই আটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হন।

এ ঘটনায় আহত অটোরিকশার চালকসহ আরও তিন যাত্রীকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে মমেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক উদ্দিন আরও বলেন, তারাকান্দায় অটোরিকশার সঙ্গে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাস্থলেই দুজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমেক হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যান সদর উপজেলার ১ নম্বর ঘাগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. কোরবান আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক মো. আলম (৪০)। এ নিয়ে তারাকান্দা দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। তবে এখনো নিহত অপর দুজনের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

তারাকান্দা থানার ওসি মো. টিপু সুলতান বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স হালুয়াঘাট যাচ্ছিল। এ সময় ময়মনসিংহগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে ঘটনাস্থলে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পৃথক ২ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে এবং রাতেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম। 

তিনি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক দুটি ঘটনারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনার শিকার সিএনটি অটোরিকশা, বাস এবং যানগুলোর দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেপরোয়া গতিই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে