এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে চাকরিরতদের জন্য ন্যূনতম এক হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিট পেনশন ১৭ হাজার ৩৮৮ টাকার ঊর্ধ্বে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং তদনিম্নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনাররাসহ পেনশনভোগী ব্যক্তিদের জন্য ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান সংক্রান্ত অর্থ বিভাগের ৩ জুন ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করেছে সরকার।
সংশোধনগুলো হলো : প্রজ্ঞাপনের প্রথম অনুচ্ছেদের এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা হারে প্রদেয় হবে। এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫০ (সাত শত পঞ্চাশ) টাকা প্রদেয় হবে।
এ ছাড়া পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরাসহ সরকার হতে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যেসব পেনশনারের প্রাপ্য মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা ও তারও বেশি, তারা ১০ শতাংশ হারে এবং যেসব পেনশনারের প্রাপ্য মাসিক পেনশন ১৭,৩৮৮/- টাকা ও তার কম, তারা ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
এর আগে গত ৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রতি বছর তাদের মূল বেতনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ পাবেন এবং দশম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ। কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন প্রদেয় পরিমাণ হবে এক হাজার টাকা। পেনশনভোগীদের জন্য ৫০০ টাকা। অর্থাৎ এখন চাকরিরতদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীদের ন্যূনতম বিশেষ সুবিধা ২৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো জানানো হয়, অবসর-উত্তর ছুটিতে থাকা (পিআরএল), বরখাস্তকৃত কর্মচারী (তাদের শেষ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ) ও কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন বা যাদের পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক নিয়েছেন, তারা এ সুবিধার আওতায় আসবেন না। রাজস্ব বাজেটের বাইরে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এ সুবিধার খরচ তাদের নিজস্ব বাজেট থেকেই বহন করতে হবে।