এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পিলখানা হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের পলাতক দুই শীর্ষ নেতা লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন। ইমেইলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ-সংক্রান্ত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।
আজ বুধবার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এ ছাড়া শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিমসহ ১৪ জনকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুম কমিশনার।
কমিশনার জানান, এ পর্যন্ত ৮ জন রাজনৈতিক নেতার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিন জন কারাগারে থেকে, তিন জন উপস্থিত হয়ে এবং দুইজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় ইমেইলে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক ইতোমধ্যে চিঠির মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন কিছু রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারো নাম বলেননি কমিশনার। হত্যাকাণ্ডের পর আলামত ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর ঘটনার কারণ ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য চাল-ডাল কর্মসূচি, জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা এবং মাদরাসায় পড়াশোনা শেষ করা জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।
কমিশনরার বলেন, ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতায় ভয়াবহ রূপ নেয় পিলখানা হত্যাকাণ্ড। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ছিল, পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হত্যাকাণ্ড কমানো যেত।