বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ০৬:৩৯:৫৪

‘দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, এরপরও হাসে? লজ্জা-শরম নাই’

‘দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, এরপরও হাসে? লজ্জা-শরম নাই’

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে আদালতে হাজির করা হলে দেখা যায় তাকে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায়। বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাকে এজলাস থেকে হাজতখানার দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।

এই সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত কয়েকজন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে চিৎকার করে বলেন,“হাসে! শরম নাই? দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, এরপরও হাসে? লজ্জা-শরম নাই। এদের বাঁচাই রাখা উচিত না।”

তীব্র এই কথার খোঁচায়ও ইনুর মুখের হাসি মিলিয়ে যায়নি। বরং তিনি নিরুত্তর থেকে মুচকি হেসেই এগিয়ে যান। সাংবাদিকদের ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নগুলোও এড়িয়ে যান তিনি—একটিও উত্তর দেননি। পরে পুলিশি প্রহরায় ধীরে ধীরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের হাজতখানায়।

পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মানুষ ভয় পেলেও হাসে। কারণ মানুষ দেখাতে চায় যে আমার মনে কোনো ভয় নাই। কেউ অপরাধ স্বীকার করছে না। জাতির কাছে তাদের ন্যূনতম অপরাধবোধ নাই।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে ভুক্তভোগী রমজান মিয়া অংশ নেন। সেদিন সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

পরে স্থানীয় বাসিন্দারা রমজানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বেটার লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভুক্তভোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। তারা ঢাকা মেডিকেলে না নিয়ে মুগদা মেডিকেল কাছে হওয়ায় রিকশাযোগে সেখানে যাওয়ার পথে সেদিন দুপুর ১২টার দিকে রমজান মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। সূত্র : ইত্তেফাক

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে