এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সরকার মাদক ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এই দুইটি জিনিস আমাদের বড় শত্রু। তিনি বলেন, ভারতের লোকজন ফেনসিডিল খায় না। বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ফেনসিডিল তৈরি করে। ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশে ভ্রমণ
সরকারের পক্ষ থেকে সব সময় দাবি করা হয় মাদকের বিস্তার কমে আসছে। এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কিন্তু কোনোদিন এটা দাবি করিনি। দুটি জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি, একটি হলো মাদক, আরেকটি দুর্নীতি।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র করে মাদক বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাদক যাতে বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, মাদকসংশ্লিষ্টতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে আমরা ইতোমধ্যে ক্লোজড করেছি। কিছুদিনের মধ্যে সে কাশিমপুর কিংবা কেরানীগঞ্জে ঢুকে যাবে।
এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাদকের কুফলের বিষয়ে আমাদের সব শ্রেণির লোককে বুঝতে হবে।
শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে হয়তো কিছু কিছু আসে, কিন্তু অন্য যারা মাদক বহন করছে, আর যারা গডফাদার তারা তো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বসে আছে। আমাদের সঙ্গেই চা-টা খেয়ে টেয়ে থাকে, এরা আমাদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে। এদের বিষয়ে আমরা প্রপার অ্যাকশন নেব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু মাদক বহনকারীদের ধরতে পারি, গডফাদারদের খুব একটা ধরতে পারছি না। আপনাদের যেভাবেই হোক গডফাদারদের ধরতে হবে।
আপনাদের হাতিয়ার দেওয়া হয়েছে, এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প দেওয়া হলো। লোকবল বাড়ানোর বিষয়টি, সেটাও করে দেব। কিন্তু গডফাদার ধরতে হবে। বহনকারী ধরে লাভ নেই। গডফাদার ধরলে এটা পুরোপুরি বন্ধ হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্য দেশের একটা বাহিনী পুরোপুরি নির্ভর করছে ইয়াবার ওপর। এটা থেকে আয় করে তারা ঘর সংসার চালাচ্ছে। এটা কীভাবে বন্ধ করা যায় আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বলব না আমরা যে খুব সফল হয়েছি। আপনারা বদির নাম জানেন। এ রকম এখন অনেক বদি হয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।