সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ০৯:৫৭:১৭

‘হের (ফজর আলী) তো অবস্থা খারাপ, মামলাটা উঠাতে চাই, হিন্দু-মুসলমান শান্তিতে থাকুক’

‘হের (ফজর আলী) তো অবস্থা খারাপ, মামলাটা উঠাতে চাই, হিন্দু-মুসলমান শান্তিতে থাকুক’

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘হের (ফজর আলী) তো অবস্থা খারাপ। বাঁচে না মরে বলা যায় না। সে যদি এলাকায় হাঁটা-চলা করতো তাহলে মামলা করে কাজ হতো। এখন ওর মরার অবস্থা। আমরা মামলাটা উঠাতে চাই, দেশে শান্ততে রাখতে চাই। হিন্দু-মুসলমান শান্তিতে থাকুক।’

রোববার (২৯ জুন) নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী।

তিনি আরও বলেন, আমার মানসম্মান সব গেছে, সবাই মুক্তি পাক। আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি দশজনের শান্তি চাই, দেশের শান্তি চাই। আমার যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। আমি মামলা তুলে নেব।

ওই নারী বলেন, আমি মামলা করেছি, আমি তুলে ফেলবো। আমি দশজনের ভালো চাই। মামলা তুলে নিতে আমাকে কেউ চাপ দেয়নি। টাকার লোভও দেখায়নি। আমার স্বামী বলেছে- ‘তোর সম্মান যা যাওয়ার গেছে।  এখন কেস করলেও সেই সম্মান ফিরে পাবি না।’

ফজর আলীর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মা ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে ফজর আলীর কাছে। সেই পাওনা টাকার বিষয়ে ফজর আলী আমাকে মাঝেমধ্যে ফোন দিতেন। এসব বিষয় ফজর আলীর ছোটভাই আমাদের সন্দেহ করে। একদিন ফজর আলীর ভাই আমাদের ঘরে এসে আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে মোবাইল ভেঙে ফেলে। পরে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিচার হয়ে ওই ঝামেলা মীমাংসা হয়।

সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফজর আলী আমাদের ঘরের সামনে এসে দরজা খুলতে বলেন। আমি বলেছি আমার বাবা-মা পাশের বাড়ির সাপ্তাহিক পূজার অনুষ্ঠানে গেছে। আমি আর দুই সন্তান ঘরে। এ সময় তিনি কৌশলে দরজা খুলে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আমার ওপর অত্যাচার করেন। কিছুক্ষণ পর ৭-৮ জন এসে ফজর আলীকে মারধর করেন। তাকে (ফজর আলীকে) মারধরের পর আমাকেও মারধর শুরু করেন। তারা আমার ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে