নিউজ ডেস্ক : সাড়ে ৮ বছর ধরে পত্রিকা দুটো পড়েন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর অর্থাৎ ২০০৮ সালের ১১ জুনের পর থেকে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পড়েন না প্রধানমন্ত্রী। এ তথ্যটি সংসদে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এ দুটো পত্রিকায় ২০টি বছর ধরেই আমার বিরুদ্ধে লেখা হচ্ছে। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে এ দুটি পত্রিকা আমি পড়ি না। ভালো কিছু লিখলেও শেষের দিকে আমাকে খোঁচা দেবে। খোঁচা খেয়ে আমি আত্মবিশ্বাস হারাবো।
তিনি বলেন, আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে তার পত্রিকা যত কিছু লিখেছে সেগুলো নাকি ডিজিএফআই সাপ্লাই দিয়েছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে লেখা থাকে নির্ভীক সাংবাদিকতা। আলোর কথা বলে অন্ধকারের কাজ করে দৈনিকটি। লেখাগুলো ছাপালো কিন্তু সূত্র লেখা হলো না কেন?
সোমবার দশম জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনার সমাপনী ভাষণে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এদের ষড়যন্ত্রের শেষ নেই। কোনো রকমে গণতন্ত্রকে ধরাশায়ী করে অসাংবিধানিক সরকার এলে তাদের কপাল খুলবে, সেই ষড়যন্ত্রেই আছে তারা। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে প্রথমে আমার ওপর আঘাত আসে। আমি সরকারে ছিলাম না, বিরোধী দলে ছিলাম। তবে কেন প্রথমে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো?। আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে ওই দুটি পত্রিকা একের পর এক মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ডিজিএফআইয়ের ব্রিগেডিয়ার বারী ও আমিনের হাত থেকে ওই সময় কেউ-ই রেহাই পায়নি। ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ছাত্রদের ওপর যারা নির্যাতন করেছে তাদের সঙ্গে কী সখ্যতা ছিল প্রথম আলোর মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনামরা দিতে পারবেন?
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিএফআইয়ের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে নতুবা মাইনাস টু ফর্মুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না থাকলে অসত্য সংবাদ ছাপাবে কেন? ব্রিগেডিয়ার আমিন আর বারীর চোখের আলো হয়েছিল ওই দুটি পত্রিকা। তাদের কাজই হলো দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। তারা চান, দেশে অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাররা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। ক্ষমতায় যেতে চাইলে রাস্তায় নামুক, জনগণের কাছে যাক। আমরা মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে রাজনীতি করি। রাজনীতি করার এত শখ, ক্ষমতায় যাওয়ার এত শখ থাকলে- মানুষের ভোট নিয়ে আসুক।
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম