মঙ্গলবার, ০১ মার্চ, ২০১৬, ০২:৫৪:৫৪

চেয়ারপারসন খালেদা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক

চেয়ারপারসন খালেদা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক

নিউজ ডেস্ক : দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যদিও নিয়ম রক্ষায় শীর্ষ এ দুই পদের জন্য গতকাল তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ কাউন্সিলের দিন ‘চেয়ারপারসন’ ও ‘সিনিয়র ভাইস  চেয়ারম্যান’ পদে ভোট হবে। এ প্রসঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়াই বিএনপির চেয়ারপারসন। সুতরাং এই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করি না। যদিও সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

১৯৮৪ সাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। ছয় বছর আগে সর্বশেষ কাউন্সিলেও তাকেই নেতৃত্বের আসনে রাখা হয়। ওই কাউন্সিলেই বিএনপিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ তৈরি করা হয়। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে বসানো হয় ওই পদে।

এবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ওই পদেও নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

তিনি বলেন, দুই শীর্ষ পদে নির্বাচন করতে চাইলে ২ মার্চ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। জমা দেওয়া যাবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। এরপর ৫ মার্চ বাছাই হবে এবং ৬ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।

জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘চেয়ারম্যান (চেয়ারপারসন) ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা নিজে কিংবা লিখিতভাবে মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে, জমা দিতে বা প্রত্যাহার করতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও উপস্থিত থাকতে পারবেন।’

বিএনপির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হতে বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। তাকে দলের চাদা দাতা সদস্য হতে হবে। বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। কয়েক ডজন মামলায় জামিন নিয়ে গত আট বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান সেখান থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই কাউন্সিলে বক্তৃতা করেছিলেন।

তিনি না ফিরলে এবং এবার দলের নির্বাচিত নেতা হতে চাইলে নিয়ম অনুযায়ী ‘লিখিতভাবে মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে’ তাকে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমাদানের সুযোগ দেওয়া হবে। বিএনপির নির্বাচন কমিশনের সদস্য হারুন আল রশিদ, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রিটার্নিং অফিসার নজরুল ইসলাম খান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবদুল মান্নান তফসিল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসা উপ-কমিটির বৈঠক : কাউন্সিল উপলক্ষে গতকাল চিকিৎসা সেবা উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সভায় চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এতে বক্তব্য দেন, অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. আবদুস সালাম, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. এম এ কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. মঈনুল হাসান সাদিক, ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মো. শহিদুল আলম, ডা. বজলুল গণি ভূঁইয়া, ডা. জেড এ মতিন আল হেলাল, ডা. নাসির উদ্দিন পনির, জাহানারা খাতুন, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।-বিডি প্রতিদিন
১ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে