এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : এক মাস ধরে চট্টগ্রামের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। তবে গত কয়েক দিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সকালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজিতে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম। গরু ও ছাগলের মাংসের বিক্রি গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
সকাল ৮টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, বাজারে ক্রেতা তেমন নেই। কিছু বিক্রেতা দোকান খুলেছেন, কেউ আবার খুলতে শুরু করেছেন। বাজারে কথা হয় মুরগি বিক্রেতা মো. ফয়সালের সঙ্গে। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে এত দিন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ছিল কম। তবে এখন চাহিদা বাড়ছে, তাই এর সঙ্গে দামেরও কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে।
বাজারের আরেক বিক্রেতা মো. সাইফুল বলেন, এখন পর্যন্ত মুরগির দাম কমই বলা যায়। বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় মুরগির দাম কম। তিনি জানান, সোনালি মুরগির দাম বেশ কিছু দিন ধরে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির ঈদের পর চট্টগ্রামে গরুর মাংসের চাহিদা কমেছিল। তাই অধিকাংশ দোকানে একটি বা দুটি গরু জবাই হয়ে এলেও আজ কিছু দোকানে বাড়তি পশু জবাই করতে দেখা যায়। গরুর মাংস আকার অনুযায়ী দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখছেন বিক্রেতারা। সেখানে হাড়সহ মাংস ও হাড়ছাড়া মাংস আলাদা রাখা হয়েছে। হাড়সহ মাংস প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। অন্যদিকে হাড়ছাড়া মাংস ৯৫০ টাকার আশপাশে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি গরুর কলিজা। দোকানভেদে দাম ১ হাজার টাকাও চাওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, পবিত্র আশুরা ঘিরে মাংসের চাহিদা বাড়ে, তাই তাঁরা বাড়তি পশু জবাই করেছেন। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়।
নগরে মাছ কেনার জন্য বহদ্দারহাট ও চন্দনপুরা বাজারে যান অনেক ক্রেতা। তবে বাজারে আজ সকালে তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। বহদ্দারহাট বাজারে অধিকাংশ মাছের দোকান বন্ধ দেখা যায় সকালে। দু-একজনের দোকান খোলা পাওয়া যায়। তাঁরা জানান, সাগর উত্তাল থাকায় মাছ আসছে কম। এ কারণে বিক্রেতারাও মাছ পাচ্ছেন না। বরফে জমিয়ে রাখা মাছের চাহিদা কম। তাই মাছের বাজারে ক্রেতাও কমেছে। অনেকেই ঘাট থেকে মাছ কিনছেন।
মাছের বাজারে রুই-কাতলা প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ২৮০, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৫০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ইলিশের দাম কেজি দেড় হাজার টাকার বেশি। বিক্রেতারা জানান, জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে কম, তাই দাম কমছে না।
চকবাজারের মাছ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, মাছের সরবরাহ থাকলে সকালেই ক্রেতাদের ভিড় থাকে। গত কয়েক সপ্তাহে ক্রেতা কমেছে। যাঁরা কিনছেন, তাঁদের কেনার পরিমাণও কমেছে। একই বাজারে মাছ বিক্রেতা আবদুর রহমান জানালেন একই কথা। এ মাসের মাঝামাঝি বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়বে বলে জানান তাঁরা।
এদিকে খুচরা বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকার ওপরে। আজ বহদ্দারহাট বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙে, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, লাউ—এসব সবজির দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। খুচরা বাজারে বাড়লেও নগরের পাইকারি আড়ত রিয়াজউদ্দিন বাজারে সব সবজির দামই ৪৫ টাকার নিচে।