এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা করেছে, এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে। আমরা দেখেছি প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এনসিপির কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের মতোই গোপালগঞ্জের অবস্থা হবে। গোপালগঞ্জে যে ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটা এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নয়, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। ইন্টেরিম পুরোপুরি ব্যর্থ এটা প্রমাণ হয়েছে।
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার খুনিদের বিচার না করার কারণে আজ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা, আওয়ামী স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া বাচ্চারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান নেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় ‘মুজিববাদ- মুর্দাবাদ’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা- এই বাংলায় হবে না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে- মুজিববাদের কবর দে’– এমন আরও নানান স্লোগানে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ প্রমুখ।