এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গোপালগঞ্জে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরা মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ দফায় দফায় আক্রমণের প্রতিবাদে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সামনে উপদেষ্টাদের গাড়িবহর আটকে প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় এনসিপি নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৬টার দিকে আইন উপষ্টা আসিফ নজরুল এবং বন ও পরিবেশ উপষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহর আটকে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
রংপুর থেকে অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সামনে তাদের গাড়ি থামিয়ে দেন এনসিপি নেতারা। পরে তারা গাড়ি থেকে নেমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে নেতাকর্মীরা আবেরোধ তুলে নিলে পরে উপদেষ্টগণ বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমত এই হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবশ্যই এর দ্রুত একশন নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এনসিপি নয় যে কোনো দলের উপর যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করবো না।
জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদেরই বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা থাকবো না। এটা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। সনদের অনেকগুলো বিষয় আছে। এ ব্যাপারে দলগুলোকে ডেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সবার খসরা একত্রে নিয়ে আমরা খসড়া তৈরি করার চেষ্টা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা করা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা যে পুলিশ বাহিণী নিয়ে কাজ শুরু করেছি সেই পুলিশ হচ্ছে আওয়ামী সরকারের নিয়োগকৃত। তারা আমাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করছে না। শেখ হাসিনা পুরো রাষ্ট্রকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে গেছে। তবে এতবড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। যারাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।