শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:১১:০১

দাম বেড়ে রাজধানীতে হঠাৎ শসার কেজি কত হলো জানেন?

দাম বেড়ে রাজধানীতে হঠাৎ শসার কেজি কত হলো জানেন?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর বাজারে বেশিরভাগ শাকসবজির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শসার দাম। তবে সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা মরিচের বাজারে। এদিকে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও মুরগির দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ানবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে শাকসবজি তোলায় সমস্যা হচ্ছে। তাই সরবরাহ কমায় সবজির দাম কিছুটা বেশি। সবজি বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা দাম কমাতে চাই। কিন্তু পাইকারি বাজারেই দাম বেশি।’

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে অনেক জমি পানির নিচে। তাই সবজির সরবরাহ কম। শসার দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। আজ ১০০ টাকা ছুঁয়েছে।’

বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। এছাড়া পটোল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর মুখী ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ টাকা এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা মরিচের বাজারে। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫০ টাকার ওপরে। বিক্রেতারা জানান, আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কমেছে।

এদিকে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদিনই কিছু না কিছুর দাম বাড়ছে। কমতির দিকে থাকা ব্রয়লারও এখন ১৭০ টাকা।’

বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে পর্যাপ্ত মুরগি আসতে পারছে না। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।

অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায়।

চালের বাজারেও নতুন করে দাম বাড়েনি। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের কেজি ৮২-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে ইলিশের দাম চড়া। মাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করছি ২২০০ টাকায়। এছাড়া ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৮০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৫০০ টাকা, আর দেড় কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকা।’

আর চাষের রুই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩৫, কৈ ২৮০-৩০০ এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৫০০ টাকায়।

বাজারে আসা ক্রেতা সুমনা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সবকিছুর দাম আবারও বেড়ে গেছে। সরকার মনিটরিং না করলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই দাবি করছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হোক, যাতে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকে এবং সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে