এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকার উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রজ্জব আলী নিলয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার মা নিলুফা বেগম। তাদের বাড়ি গাজিপুরে।
ছেলের সন্ধানে আসা নিলুফা বেগমকে কলেজের ফটকের কাছে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি ভেতরে যেতে চাইলে নিরাপত্তার কারণে তাকে ঢুকতে দেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ৩টায় নিলুফা বেগম বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই ছেলেকে ফোন দিয়ে আসছি, কিন্তু কল রিসিভ করছে না। ছেলের কী হয়েছে তাও জানতে পারছি না। ছেলের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। অন্তত ফোনটা রিসিভ করলে টেনশনমুক্ত হতাম।’
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো (আইএসপিআর) এক খুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনার পরপর দগ্ধদের হাসপাতালে নিতে তত্ত্বাবধান করছে সেনাবাহিনী। আর নিরাপত্তার কারণে কাউকে কলেজের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরার দিয়াবাড়ি গোলচত্বর থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার রাস্তার দুই পাশে হাজারো মানুষের ভিড়। তাদের সঙ্গে কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও আছেন। তাদের সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনী ও কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কাজ করছে।
মাইলস্টোন কলেজের বাংলা মাধ্যমের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইকরাম জানায়, বিমান দুর্ঘটনার সময় তারা ক্লাস করছিল। এর মধ্যে হঠাৎ ক্যাম্পাসের ইংলিশ ভার্সন এরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ব্যাপক শব্দ হয়। আগুনের ধোঁয়া চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে সবাই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।