এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন হাসপাতালে অসংখ্য মানুষ ভিড় করে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন আহতদের সঙ্গে, আর অনেকেই এখনো স্বজনদের খুঁজছেন।
এই স্বজনদের অনেকে তাদের সন্তানদের ছবি নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন। উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল হাসপাতালেও স্বজনকে খুঁজতে এসেছিলেন অনেকেই।
প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতালে ৬০ জন ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের অনেকে অন্যান্য হাসপাতালে চলে গেছেন। এখনো ২৩ জন ভর্তি রয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরেই সেখানে রোগীদের স্বজনরা আসছেন, ছোটাছুটি করছেন।
আহতদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে অনেকে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে হাসপাতালে এসেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় বার্ন ইউনিট, ঢামেক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্বজনদের খুঁজছেন অনেকেই।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছেন, ওই স্কুল থেকে আহতদের উদ্ধার করে শুরুতেই উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
তাদের বেশিরভাগের শরীরের নানা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত বা দগ্ধ অবস্থায় যাদের আনা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ তারা প্রায় সবাই ওই স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে, কাউকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।