যেভাবে জীবন উৎসর্গ করলেন পাইলট তৌকির ইসলাম
এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট বিমানটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মূল্যবান সময় দেন। কিন্তু বিমান থেকে বের হওয়ার জন্য যে পদ্ধতি তা বিলম্বিত হওয়ায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের শেষ শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বিমানটি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল পাইলট তখন সর্বোপরি চেষ্টা করেছে বিমানকে খালি জায়গায় নামানোর। বিশেষ করে একটি মাঠ পেয়েছিল পাইলট, সেখানে নামানোর চেষ্টা করে কিন্তু তার শেষ চেষ্টা সফল হয়নি, যার কারণে বিমানটি আছড়ে পড়ে ভবনটির ওপরে। পাইলট বিমানটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মূল্যবান সময় দিয়েছেন। বিমান থেকে বের হওয়ার জন্য যে পদ্ধতি তা বিলম্বিত হয়ে যায়, তার ফলে নিজের জীবন উৎসর্গ করে পাইলট।
তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে একটি যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ করার সময় রানওয়ের খুব কাছে বিধ্বস্ত হয়। ক্রাশ ল্যান্ডিং হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে। যেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এছাড়া অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আহতদের দেখে এসেছি, বার্ন ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাবো।
এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, দয়া করে দেশের এ বিপদের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গুজব ও মিস ইনফরমেশনে কান দেবেন না। একটি শক্তিশালী বিমানবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য অপরিহার্য। গুজব ছড়িয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের স্তম্ভ দুর্বল করে দেবেন না।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে যত দ্রুত সম্ভব হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতি শিগগির তদন্ত কমিটি বের করবে, কী ধরনের ত্রুটি ছিল।
