এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারবেন কি পারবেন না, বিষয়টি দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের বিষয় হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা ব্যক্তির অধিকারের সঙ্গে জড়িত বলেও মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৭তম দিনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে সংসদীয় নেতা হবেন, এ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত। কিন্তু পার্টির প্রধানকেই যে প্রধানমন্ত্রী করা হবে, এমন তো কোনো কথা নেই। বিষয়টি ব্যক্তির অধিকারের সঙ্গেও জড়িত।
গণতান্ত্রিক চর্চায় যিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন, তিনি কয়েক দিন পরে পার্টি প্রধান না-ও থাকতে পারেন। বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবে দল অথবা জোট। বিষয়টি উন্মুক্ত থাকা ভালো। শুধু পার্টির প্রধান হওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিরত রাখা ঠিক হবে না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘‘কমিশন র্যাঙ্কড চয়েসের (পছন্দের ক্রমানুসারে ভোট) প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখানে যেহেতু সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, সেটা নিরসনের জন্য শেষ পদ্ধতি হিসেবে আমরা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অনুসরণের কথা বলেছি।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি বা নিয়োগ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলে ভালো। কিন্তু হয়তো কমিটি একমত হতে পারবে না। সে জন্যই বিএনপি ত্রয়োদশ সংশোধনীর কথা বলেছে।’’
এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এক সিদ্ধান্তে জানায়, কেউ একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না। কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকেও এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। তবে কোনো দল চাইলে জাতীয় সনদে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারবে।