এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তুলনামূলক বেশি মুনাফা এবং মাসিক মুনাফা উত্তোলনের সুবিধার কারণে পরিবার সঞ্চয়পত্র ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন। পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে বার্ষিক মুনাফার হার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা বর্তমানে চালু থাকা সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সঞ্চয়পত্র হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত একটি বিনিয়োগ প্রকল্প। যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে নির্ধারিত সময় পরপর মুনাফা পাওয়া যায়। সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে যে টাকাটা বিনিয়োগ করা হয়েছে তাও উত্তোলন করা যায়।
তবে দেশে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীন যত ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্র। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর ২০০৯ সালে পরিবার সঞ্চয়পত্র চালু করে।
যত টাকায় কেনা যায় পরিবার সঞ্চয়পত্র
এই সঞ্চয়পত্র ১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকায় কেনা যায়। এ ক্ষেত্রে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর।
যেভাবে মিলবে
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোসহ ডাকঘর থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার পাশাপাশি নগদায়ন করা যায়।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে যে পরিমাণ মুনাফা
১ জুলাই থেকে সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে। তবে আগের মতো সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।