এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, আমরা জুলাই শহীদদের রক্তের ওপরে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। তারা জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করছেন না।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টা যাদের বানিয়েছি, তাদেরও ব্যর্থতা দেখছি, দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছি। জুলাইয়ের যে সার্বজনীনতা, ঐক্য ছিল সেটি নষ্ট করার জন্য দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা রয়েছে তাদের বিভাজনমূলক আচরণ দেখতে পারছি। এটি পুরো জাতিকে অনেক বেশি হতাশ করেছে।’
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ শিবিরের সাথী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির ও স্বর্ণ শ্রমিক মোসলেম উদ্দিন মিলনের কবর জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘এক বছরেও পুলিশ সংস্কার হয়নি। জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলাপ হচ্ছে।
আমাদের আশঙ্কা এটিকে কুক্ষিগত করতে একটি পক্ষ চেষ্টা করছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করতে চাই, শহীদদের আকাঙ্ক্ষা, শহীদদের স্পিরিট, জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সময় ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দফা এবং পরবর্তী আন্দোলন সমন্বয়সহ সামগ্রিক বিষয় জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদে না থাকলে তা মেনে নেব না। সকল অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সহযোদ্ধাদের সামগ্রিক আচরণে ব্যক্তি সাদিক কায়েম না, পুরো জাতি আশাহত হয়েছে।
আশা করছি জুলাই-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমাদের মতের বিরোধ থাকবে, তবে দেশ ও জুলাইয়ের প্রশ্নে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। কিন্তু সেখানে দেখলাম সহযোদ্ধারা ক্রমাগত বিষোদগার করছেন। তারা বিষোদগার করলেও আমরা ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে চাই। ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
সেই সঙ্গে জুলাইয়ের সঙ্গে যারা গাদ্দারি করে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ জারি থাকবে।’
সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে কেউ রাজনৈতিক পরিচয়ে যায়নি। আন্দোলনে বামপন্থী নাকি ইসলামীপন্থী দেখা হয়নি। আমরা সবাই জালেম হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। শহীদরা সবার সম্পদ। আমরা যদি দলীয় পরিচয় দিয়ে শহীদদের পরিচয় করিয়ে দিই তাহলে তা শহীদদের প্রতি অসম্মান করা হবে। শহীদরা দেশ ও জাতির সম্পদ। ছাত্রশিবির সব শহীদকে ধারণ করে। আমরা তাদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের পরিবারের কাছে যাচ্ছি, তাদের ডকুমেন্টরি করছি, স্মারকগ্রন্থ করছি।’