এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমার ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীতে মাস খানেকের বেশি ধরেই স্থিতিশীল ছিল ডিমের বাজার। তবে হঠাৎ করেই বাজারে বেড়ে গেছে দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ থেকে ১৫ টাকা।
বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। আর প্রতি ডজন সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়।
তবে এলাকাভেদে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে আর ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। কারণ জানিনা। রাজধানীর পুরান ঢাকার মুদি দোকানি আফজাল বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ডিমের দাম। পাইকারিতে বাড়ায় খুচরাতেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহের চেয়ে ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে। ডিম ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজি, মুরগি, মাছ ও মাংসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। এ কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আর সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে ডিমের।
এদিকে, রাজধানীর বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দামও। কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। কোথাও প্রতি কেজি পেঁয়াজে গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকাও। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায়ও বেড়েছে দাম। পেঁয়াজ বিক্রেতা নাসির বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকেই আমাদের প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকার ওপরে। খুচরায় খুব বেশি লাভ থাকছে না।’
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শেষ ভাগে এসে সরবরাহ কমে গেছে। তার ওপর বৃষ্টিতে পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ী ফরিদ জানান, ‘কয়েক দিন আগেও প্রতিপাল্লা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকায়। এখন বিক্রি করছি ৩২০ টাকার ওপরে। পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চলে মোকামে দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে।’
আরেক ব্যবসায়ী নাইমুর জানান, ‘গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখনো বাজারে কৃষকের সংরক্ষিত পুরোনো পেঁয়াজই আসছে। তবে সরবরাহ কিছুটা কম, যার প্রভাব পড়েছে দামে। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে পরের মৌসুমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
ভোক্তারা মনে করছেন, বাজারে নিয়মিত নজরদারি না থাকায় পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হঠাৎ করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সজল আহমেদ বলেন, ‘চাল, ডাল, সবজির দাম এমনিতেই বেশি। এর ওপর ডিম আর পেঁয়াজের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তরা বিপদে পড়ছি।’