এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, আজ ৮ আগস্ট এ সরকারের এক বছর পূর্ণ হলো। এক বছরের মাথায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সরকার। গতকাল প্রেসসচিব বললেন, সরকার দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত হয়েছে। এখন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করা।
শুক্রবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক বিশ্লেষণে তিনি আরো বলেন, কিছুক্ষণ আগে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল উগেলম্যান বলেছেন, ‘হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে আগামী নির্বাচন।’ সত্যিই এটা বড় পরীক্ষা। নির্বাচন যদি ঠিকভাবে না হয়, তাহলে সব অর্জন বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অনেকেই আমার ওপর বিরক্ত হয়েছেন এজন্য যে, আমি কেন বারবার নির্বাচন নির্বাচন করি।
বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ তার লক্ষ্য ক্ষমতা। আমার লক্ষ্য একটা গণতান্ত্রিক সরকার, একটা শাসনতান্ত্রিক সরকার। কারণ আমি জানি, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ শাসন হয় না। তিনি আরো বলেন, আমি বারবার বলি, ড. ইউনূস নিশ্চয়ই একজন ভালো মানুষ।
দেশে-বিদেশে তার উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে। কিন্তু সেটাই শেষ নয়। প্রশাসনের ইউনিটগুলো ড. ইউনূসের মতো নয়, সুতরাং তিনি পারবেন না। তার পক্ষে সম্ভব নয়। ড. ইউনূসের মতো সুশীল লোকেরা পরামর্শ দেবেন, কিন্তু কঠিন কাজটা রাজনৈতিক সরকারকেই করতে হবে।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জগুলো হলো : জামায়াতের অংশগ্রহণ, জামায়াতের নেতৃত্বে জোট ঠিকমতো নির্বাচনে আসবে কিনা, এনসিপির কী অবস্থান হবে, বিএনপি তার বিপুলসংখ্যক প্রার্থীকে কিভাবে সমন্বয় করবে, কিভাবে চাপমুক্ত রেখে অন্য প্রতিযোগীদের মতো নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা। যদি পারে তাহলে সেটাকে কেন্দ্র করে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, আর যদি অংশ না নেয় তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটাকে কিভাবে নেবে? অনেকগুলো প্রশ্নের সমাধান মিলবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সুন্দরভাবে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে পারে তার ওপর।