বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১:১৬

কেন এই সঞ্চয় পত্রে বিনিয়োগ লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত?

কেন এই সঞ্চয় পত্রে বিনিয়োগ লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের অধীন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালিত অন্যতম জনপ্রিয় বিনিয়োগ প্রকল্প হলো পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র। দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ আয় নিশ্চিত করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

এই সঞ্চয়পত্র প্রথম চালু হয় ১৯৭৭ সালে, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়ের প্রতি উৎসাহিত করা এবং অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা। বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মুনাফার হার
বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বার্ষিক মুনাফার হার ১১.৮৩ শতাংশ। বিনিয়োগকারী নির্ধারিত সময় পরপর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন এবং মেয়াদ শেষে মূলধন ফেরত পান।

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
মেয়াদ ৫ বছর, অর্থাৎ নির্ধারিত সময় শেষে এটি পরিপক্ব (Mature) হয়।
এটি বিভিন্ন মূল্যমানের হয়ে থাকে, যাতে সব শ্রেণির মানুষ বিনিয়োগ করতে পারেন।
যেসব মূল্যমানে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়:
১০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ১ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা, ১০ হাজার টাকা, ২৫ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা, ১০ লাখ টাকা ও ২৫ লাখ টাকা।
কেনার নিয়ম

সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে নিকটস্থ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে যেতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে সোনালী সেবা (Sonali eSheba) মাধ্যমেও আবেদন করা যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

যারা ঝুঁকিমুক্ত ও নিয়মিত মুনাফা চান, তাদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একটি আদর্শ পছন্দ। সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যেমন সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তেমনি ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে