এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। চলতি আগস্ট মাসের বেতন বিল অনলাইনে দাখিল করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিল না দিলে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে কারও বেতন পাঠানো হবে না।
এছাড়া ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিল দাখিলের দায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে বলেও কঠোরভাবে জানিয়ে দিয়েছে অধিদফতর।
বুধবার (২০ আগস্ট) জারি করা এক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
এতে বলা হয়েছে, আগস্ট মাস থেকেই ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন প্রেরণে অনলাইনে বিল সাবমিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ইএমআইএস (EMIS) সিস্টেমে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এমপিও-ইএফটি মডিউলে লগইন করতে হবে। এরপর প্রতিটি শিক্ষক-কর্মচারীর নির্ধারিত বেতন নিয়ম অনুযায়ী নিরূপণ করে আলাদাভাবে বিল সাবমিট করতে হবে।
সঠিকভাবে বিল দাখিল না করলে শিক্ষক-কর্মচারীরা ওই মাসের বেতন পাবেন না। আর যদি ভুল তথ্যের কারণে কেউ ইএফটির বাইরে থেকে যান, সে দায়ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকেই নিতে হবে।
দাখিল করা বিলের একটি কপি ডাউনলোড করে প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরসহ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে।
অধিদফতর জানায়, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ইএফটি পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। জুলাই মাস পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় টাকা পাঠানো হলেও আগস্ট থেকে এটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল বিল সাবমিশনের মাধ্যমে চালু হচ্ছে।
বিলে এমন তথ্যও নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, যদি কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী মারা যান, পদত্যাগ করেন কিংবা সাময়িক বরখাস্ত থাকেন। এমনকি অনুমোদন ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে বা অন্য কোনো কারণে কারও আংশিক বা সম্পূর্ণ বেতন বন্ধ রাখতে হলে সেটিও অনলাইনে বিল সাবমিটের সময় পরিষ্কারভাবে লিখতে হবে।
অধিদফতর বলেছে, একাধিক জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্যতা হিসাবও নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারণ করে বিল দিতে হবে। সব ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠান প্রধানের তথ্যই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
এই প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দেশনার একটি গাইডলাইন ইতিমধ্যে অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানায় অধিদফতর।