স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে বুধবার ’অঘোষিত সেমিফাইনালে’ পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেকে কেঁদে ফেললেন। পাকিস্তানকে হারিয়ে মাঠে যখন উল্লসিত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ও দর্শকরা, তখন গ্যালারিতে আনন্দ অশ্রু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখে।
এদিকে স্বাধীনতার মাস মার্চ ও অন্যদিকে ঐতিহাসিক পতাকা দিবসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই খেলা নিয়ে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিল ব্যাটে-বলে আরেকটি যুদ্ধজয়ের প্রত্যাশা, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নেয়। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রবল প্রত্যাশা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ম্যাচ দেখতে ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং তার স্ত্রী পেপ্পি সিদ্দিককে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বা রাষ্ট্র প্রধানদের আবেগ প্রকাশে সাধারণত রাখঢাক থাকলেও জাতির জনকের কন্যা নিজের আবেগকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে চাপা দিয়ে রাখেননি। এই দিনে তিনিও শামিল হলেন সবার সঙ্গে। হাসলেন। কাঁদলেন। দেশের পতাকা উড়ালেন। কখনো উচ্ছ্বাসে হাতে তালি দিয়ে উঠলেন।
৫ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য টপকে যাওয়ার পর পুরো স্টেডিয়ামের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শেখ হাসিনা।
ভিভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই মাঠে উপস্থিতদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। এরপর জাতীয় পতাকাও ওড়ান।এক পর্যায়ে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি শেখ হাসিনা। আনন্দ অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে তার দুচোখ বেয়ে। চশমা খুলে চোখ মুছতেও দেখা যায় তাকে।তখন শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।
এদিকে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড়ের মত প্রচার হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী এই রুপ ক্রিকেটপ্রেমকে সবাই প্রশংসা করেন।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল লেখেন, এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠায় এক পর্যায়ে আনন্দে অশ্রু ঝরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার।
ইমরান এইচ সরকার লেখেন, লাল-সবুজের বিজয়ে এমনই যাদু, প্রধানমন্ত্রীও তখন হয়ে যান শিশু! এছাড়াও ছবিটা প্রচার করেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী এবং ক্যাপশনে লেখেন ‘আনন্দ-অশ্রু...’।
৩ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস