বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ, ২০১৬, ১১:৫৫:২০

রামপুরার দুই শিশুর খুনি তাদের মা: র‌্যাব

রামপুরার দুই শিশুর খুনি তাদের মা: র‌্যাব

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে দুই ভাইবোন-নুসরাত আমান অরনী (১২) ও আলভী আমানকে (৬) শ্বাসরোধ করে তাদের মা-ই হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, মানসিক অস্থিরতা ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে তাদের হত্যা করা হয়।

এ বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, তাদের মা মাহফুজা মালেক জেসমিন পরিকল্পিতভাবে সন্তানদের হত্যার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

দুই শিশুর বাবা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ কোনোভাবে এ ঘটনায় জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পরে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে বলে অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান।

কেন মা তার সন্তানদের হত্যা করেছেন- এই প্রশ্নে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সাধারণত এই জাতীয় হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক বিরোধ বা মানসিক অশান্তির বিষয় থাকে। এ ঘটনাটি কী কারণে হয়েছে তা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।

অবশ্য র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে সংবাদকর্মীদের পাঠানো এক এসএমএসে বলা হয়, পারিবারিক জটিলতার জের ধরে ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে রামপুরার বনশ্রীর বাসায় দুই শিশুকে হত্যা করেন তাদের মা।

ওইদিন রাতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী নুসরাত জাহান অরণী (১৪) ও তার ছোটভাই আলভী আমানকে (৬) অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

চাইনিজ রেস্তোরাঁ থেকে আনা খাবার খেয়ে শিশু দুটির মৃত্যুর সন্দেহের কথা পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হলেও পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে মেলে হত্যাকাণ্ডের আলামত।

এরপর বুধবার জামালপুর থেকে শিশু দুটির বাবা, মা ও খালাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসে র‌্যাব। তখন থেকে তারা র‌্যাব হেফজতেই আছেন।  

দুই শিশুর মামা জাকির হোসেন সরকার বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, গতকাল র‌্যাব তিনজনকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। তারা কী অবস্থায় আছে তাও আমরা জানি না।

অরণী ও আলভীর মৃত্যুর ঘটনা ‘এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না’ জানিয়ে জাকির বলেন, আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে