এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সংহতি সমাবেশ শেষ করে আবারও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। এতে জাতীয় পার্টির পাঁচতলা ভবনের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ। সেই সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান তারা। আগে থেকেই পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড উপেক্ষা করে দলবল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করার পর নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা।
ভাঙচুরে অংশ নেওয়া রিফাত নামের একজন বলেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করতে হবে, আমাদের নুর ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে, জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব রাখব না।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক আক্কাস বলেন, হঠাৎ একদল লোক এখানে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের বাধা না মেনে তারা জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা করে। এর কিছুক্ষণ পরে নিচে আগুন লাগায়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদ ব্যানার সহকারে মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে আগুন দেয়।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ চায়, কেন আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এই কারণে? তাহলে যারা ছাত্রলীগ করেছে তারা এখন এনসিপি করেছে। তাহলে তাদের আগে নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। কারণ তারা তো সরাসরি ছাত্রলীগ করেছে।
রেজাউল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, বিএনপিসহ ৩২ দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাহলে তাদেরও নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটা অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিরোধী দল হব। এই কারণে নির্বাচন পেছাতে এগুলো করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, তারা এসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে, জলকামান দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। এখন আপাতত কোনো সমস্যা নেই।