এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশের জনগণ কোনো দালালদের কাছে রাজপথ ইজারা দেয়নি। দেশবিরোধী কাজ যারা করবে, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
পোস্টে দুটি পয়েন্ট উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন লেখেন—একটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে কেন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) এর জন্যে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে, অনেকের মতো সেটা আমারও প্রশ্ন?
প্রথমত—যদি একটি দলের সম্ভাব্য ভোটের শতাংশ দেশের নিবন্ধিত মোট ভোটারের একটি নগণ্য অংশ হয়। তাহলে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশবিরোধী চক্রান্তকারী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজ মার্কায় আওয়ামী ভোট কাস্ট করে । ক্ষমতা দখল অথবা দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে থাকতে পারে।
দ্বিতীয়ত—সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও বাংলাদেশের মাটিতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী (সশস্ত্র এবং তত্ত্বে বিশ্বাসী) রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশকে সরাসরি ভারত পৃষ্ঠপোষণ ও আশ্রয় দেয়। এছাড়া ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে চাওয়া সমর্থক গোষ্ঠীও তৈরি হয়েছে বিগত ১৭ বছরে। এরা যদি পিআর সিস্টেম ব্যবহার করে সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের যেকোনো অংশ আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলে তাহলে সেটা কীভাবে ঠেকানো যাবে?
নির্বাচনমুখী কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার চিন্তা বিএনপিরনির্বাচনমুখী কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার চিন্তা বিএনপির
এখন প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে প্রতিবেশী ভারত তার নিজস্ব বলয় তো বসাবেই, বিশ্বের অন্যান্য সুপার পাওয়ার গুলোও একই পদ্ধতি অবলম্বন করবে।
পোস্টের শেষাংশে তরুণ এই নেতা উল্লেখ করেন—আমি অতি সাধারণ মানুষ আমার কাছে হিসাবটা সোজা। অতীতে যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি এবং বর্তমানকালে যারা পতিত হয়েছে তারাও স্বাধীন বাংলাদেশ বিক্রি করেছে। দুইটা একই জিনিস। তাদের ক্ষমতা চাই, দেশ তাদের প্রভুদের।এখন পাকিস্তানপন্থি আর ভারতপন্থি দুইটাই মিল্লা গেছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন—হিসাবটা আরও সহজ করে দেই। বাংলাদেশের জনগণ কোনো দালালদের কাছে রাজপথ ইজারা দেয় নাই। দেশবিরোধী কাজ যারা করবে, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেয়া হবে। দেশের জন্যে জীবন দিয়ে দেবো তবু একাত্তর আর চব্বিশ, এই দুই প্রজাতির রাজাকারদের হাতে তুলে দেবো না অথবা অন্য যেকোনো দেশের দালালদের কাছে দেশকে নত হতে দেব না ইনশাআল্লাহ।’