এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় প্যানাসনিকের উপাদান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক অবশেষে পাচ্ছেন ক্ষতিপূরণ। দীর্ঘ সাত মাস বেতন না পাওয়ার অভিযোগে শুরু হওয়া এ বিতর্কের নিষ্পত্তি হয়েছে জাপানি বহুজাতিক কোম্পানি প্যানাসনিক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রাইটস অ্যাডভোকেটসের সমঝোতার মাধ্যমে।
জানাগেছে, শ্রমিকরা কর্মরত ছিলেন প্যানাসনিকের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং এসডিএন বিএইচডি তে। ক্ষতিপূরণের অংক প্রকাশ না করা হলেও, এটি যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অংক—তা নিশ্চিত করেছে দেশটির ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, শ্রমিক অধিকারকর্মী অ্যান্ডি হল, যিনি এই মামলা ইন্টারন্যাশনাল রাইটস অ্যাডভোকেটসের কাছে নিয়ে যান, তিনি এ মামলার বিষয়ে বলেছেন— “শ্রমিকদের ঋণ রিমুভ করা হয়েছে, তারা তাদের প্রাপ্য বেতন ফিরে পেয়েছেন এবং ভোগান্তির জন্য বাড়তি ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে—এতে আমি স্বস্তি বোধ করছি।”
মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রাইটস অ্যাডভোকেটসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক টেরেন্স কলিংসওর্থ জানিয়েছেন, প্যানাসনিক শ্রমিকদের নিয়োগ ফি ফেরত দিয়ে “অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা” প্রদান করেছে। পাশাপাশি কাওয়াগুচি শ্রমিকদের প্রতিশ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ করছে কিনা, তা নজরদারিতে রেখেছে প্যানাসনিক।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে আরো জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে কাওয়াগুচি ৩ মিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি বকেয়া বেতন পরিশোধে সম্মত হয়েছিল, তবে শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রথম কিস্তিতে মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার রিঙ্গিত দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি বাকি অর্থ আর দেয়নি।
এ সময় শ্রমিকরা পোর্ট ক্লাংয়ের কারখানার সামনে শান্তিপূর্ণ একটি বিক্ষোভ করেছিলেন। এর আগে এয়ারকন্ডিশনার নির্মাতা ডাইকিন জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ১২ হাজার মার্কিন ডলার এবং অতিরিক্ত অর্থসাহায্য দিয়েছিল শ্রমিকদের।
এছাড়া ডাইকিন, প্যানাসনিক ও সোনি যৌথভাবে রেসপনসিবল বিজনেস অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রমিককে নিয়োগ ফি ফেরত বাবদ ২০ হাজার রিঙ্গিত প্রদান করে।