শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:৪২:২৮

রিকশা ও মাইক্রো যোগে তুলে নেয়া হয় আমাকে: মাওলানা মামুন

রিকশা ও মাইক্রো যোগে তুলে নেয়া হয় আমাকে: মাওলানা মামুন

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর তুরাগ থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১০৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া 'জুলাই যোদ্ধা' মাওলানা মামুনুর রশীদকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, প্রথমে রিকশায় এবং পরে একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নেওয়া হয়।

মাওলানা মামুনুর রশীদ তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।তুলে নেওয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়ে মাওলানা মামুন বলেন।

প্রতিদিনের ন্যায় আমি সকালে ফজরের পর হাঁটতে বের হই। হঠাৎ রিকশায় ৩ জন ব্যক্তি আমাকে বলে, 'ভাই আমরা প্রতিদিন কাঁচা বাজারে গিয়ে চাঁদাবাজির শিকার হই। আমাদের সাথে একটু আসেন।' আমি প্রথমে যেতে চাইনি, তবুও তাদের কথার অনুরোধে রিকশায় উঠি।"

রিকশাটি কামারপাড়া স্ট্যান্ড পার হওয়ার আগেই ভাড়া মিটিয়ে দেওয়া হয়। "কাঁচাবাজারের সামনে রিকশা থামতেই একটা হাইস (মাইক্রোবাস) আসে। সেটার ভেতরে তিনজন ছিল। বাহিরে থাকা ৩ জন আমাকে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে ফেলে। এরপর আমাকে সাব্বিরের ছবি দেখায়। আমি 'হ্যাঁ চিনি' উত্তর দিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সম্ভবত চেতনা নাশক কিছু ছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারি না।"

উদ্ধারের বিষয়ে মাওলানা মামুন বলেন, জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন তাকে সম্পূর্ণ সময়টা একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি ঘুম বা সময় সম্পর্কে কোনো ধারণা পাননি। "আজকে হঠাৎ করে মুখে পানি ছিটালেন কয়েকজন। পরে দেখি আমি পূর্বাচলের ওই মসজিদের ওখানে।"

উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে তুরাগের হানিফ আলী মোড় এলাকার বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাকে পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পাশে নির্জন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ১ নম্বর সেক্টরের মসজিদে নিয়ে যান। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে