এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ধারণা করা হচ্ছিল পিতা দেশ বরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক সাদেক হোসেন খোকার মত রাজনীতির পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও জড়িত থাকবেন ইশরাক হোসেন। ঢাকা তথা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সুপ্রতিষ্ঠিত শক্তি ব্রাদার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার মধ্য দিয়ে সে আভাসই মিলেছিল।
এবারের বিসিবি নির্বাচনে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী প্যানেল অন্যতম প্রার্থী বলেই বিবেচনা করা হচ্ছিল ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে। তামিমের সাথে বিএনপি সমর্থনপুষ্ট প্যানেলের অন্যতম প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন তিনি।
গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিসিবি নির্বাচনের মনোনয়নও পত্র কিনেছিলেন ইশরাক; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর সেই মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। তার মানে এবারের বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিবেন না সাদেক হোসেন খোকা তনয়।
কেন হঠাৎ নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত ইশরাকের? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি হাই কমান্ডের নির্দেশেই নাকি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তার। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন ইশরাক হোসেন।
পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তার বিএনপি মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। সে কারণেই নাকি দলের হাই কমান্ড তাকে ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রম থেকে দুরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সে কারণেই নাকি ইশরাক মনোনয়ন জমা দেননি।
এদিকে ইশরাক হোসেনের পাশাপাশি বিসিবির বর্তমান পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান সালাউদ্দীনও মনোনয়ন তুলে জমা দেননি।
এবারের বিসিবি নির্বাচনে ক্যাটাগরি ‘২’, মানে ঢাকার ক্লাব পরিচালন পদে ৩২ জন শনিবার মনোনয়ন পত্র তুলেছিলেন। তার মধ্যে ২ জন (ইশরাক হোসেন ও সালাউদ্দীন) মাত্র জমা দেননি। মানে তারা নির্বাচন করছেন না।
এখন বাকি ৩০ জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কতজন নির্বাচন করবেন, সেটা জানা যাবে আগামী ১ অক্টোবর দুপুর ১২টার পর।