এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে হাজিরা দিতে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দী এই সাবেক বিচারপতি এখন অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আইনজীবীর ফি দিতে না পারায় তিনি ইতোমধ্যে নিজের ল চেম্বারের সব বই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয় বিচারপতি মানিককে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে দুই হাতে হাতকড়া পরিয়ে, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায়। সেখানেই একটি মাদুরে বসে থাকেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে আদালতে তোলা হয় এবং কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তরিকুল ইসলাম আদালতকে জানান, শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন বলেন, "তিনি (শামসুদ্দিন চৌধুরী) মারাত্মক আর্থিক সংকটে আছেন। মামলা পরিচালনার খরচ বহন করতে পারছেন না। ল চেম্বারের সব বই বিক্রি করে দিয়েছেন।"
বিচারপতি মানিক আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আবারও হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। একই ভ্যানে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী এবং ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাও।
পানি-রুটি-খেজুরে দুপুর
দুপুর ১২টার দিকে হাজতখানায় নেওয়া হয় বিচারপতি মানিককে। সেখানে মাদুরে বসে কলা, খেজুর ও পাউরুটি খেতে দেখা যায় তাকে। তার পাশে ছিলেন মুর্শেদী ও আগরওয়ালা। তিনজনেই পায়চারি ও নীরব আলোচনায় সময় কাটান।
বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের কার্যক্রম শেষে তাঁদের আবারও প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় এবং কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়িটি।