এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কোনো কারণ ছাড়াই গ্রাহকের টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক রবির সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলার হুমকি দেওয়ার পর দুই মাসে কেটে নেওয়া ৬০০ টাকা ফেরত দিয়েছে অপারেটরটি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে তারেক শিকদার নামের একজন গ্রাহক তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তারেক বৈশাখী টিভির সিনিয়র রিপোর্টার।
‘মোবাইল কোম্পানির ডাকাতি অতঃপর টাকা উদ্ধার’ শিরোনামে ফেসবুক পোস্টে তারেক শিকদার লিখেছেন, ‘আমি জীবনে কখনো সিম কিনিনি। ২০ বছর আগে পরিবার আমাকে একটি রবি (তৎকালীন একটেল) কোম্পানির সিম কিনে দেয়। সেটা এখনো ব্যবহার করি। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটা পরিবর্তন করতে পারি না।’
‘যা হোক, সাম্প্রতিক এক ঘটনা বলি। সাধারণত প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি কথা মোবাইলে বলি না। আর প্রয়োজনীয় কথা ২/৩ মিনিটের বেশি হয় না। তাই ওইটুকুই বলি। ক’দিন আগে খেয়াল করলাম, আমার মোবাইলের ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে প্রায়। রবিতে কল দিলে জানালো কী কী অ্যাপস যেন আমি ব্যবহার করেছি, অথচ যার কখনো নামও শুনিনি।’
তারেক শিকদার লেখেন, ‘প্রতিদিন ৩-৫ টাকা করে দিনে ২/৩ বার করে টাকা চার্জ করছেন তারা। তখন বললাম, আমি তো আপনাদের টাকা চার্জের অনুমতি দেইনি। তারা বললেন, অনুমতি দিয়েছি। তখন ডকুমেন্টস দেখাতে বলি। কিন্তু তা না করে বারবার বলছিলো অনুমতি দিয়েছি। তখন বললাম ডাকাতি করার অপরাধে কোর্টে মামলা করবো আমি। এরপর সমাধানের আশ্বাস দেয়। পরদিন রবি থেকে আরেকজন কল দিয়ে একই আলাপ। তাকে বলেছি চার্জ করা সব টাকা ফেরত দিতে হবে আমাকে। এ নিয়ে অনেকক্ষণ যুক্তি-তর্ক চলে তার সাথে।’
পোস্টে তারেক শিকদার আরও লেখেন, ‘তাকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছিলাম সমাধানের, অন্যথায় আদালতে যাবো আমি। আজ কল দিয়ে জানালো, প্রায় ২ মাস ধরে ৬০০ টাকা চার্জ করেছে আমার এবং সব টাকা বিনা শর্তে ফেরত দেওয়া হলো। ভাবছি, সারাদেশে কত কোটি গ্রাহক তাদের? এভাবে কত শত কোটি টাকা লুট করছেন তারা?’
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গ্রাহকদের যখন, যেভাবে খুশি ঠকানো হয়। অনেকে এগুলো নিয়ে সচেতন নন। এর দায় বিটিআরসিকে নিতে হবে। তারা এর আগে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া সিম বিক্রি নিয়ে একজন গ্রাহকের করা জিডির বিষয়টি জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি। সেজন্য আমরা মনে করি, মোবাইল অপারেটরগুলোর এ অপকর্মের জন্য বিটিআরসি দায়ী।’
বিষয়টি নিয়ে রবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক তারা এ নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি। রবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।’