এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে অপরিশোধিত রাইস ব্রান বা কুঁড়ার তেল আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের শীর্ষ কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সানওয়া ইউশি কোম্পানি। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে রাইস ব্রান তেলের বাজার চাহিদা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ আগ্রহের কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়োজাইমন ইয়ামাগুচি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর। অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বাজার সম্ভাবনা, চাহিদা, সরবরাহব্যবস্থা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ সময় কুঁড়ার তেল–সংশ্লিষ্ট শিল্পের স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সানওয়া ইউশি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়োজাইমন ইয়ামাগুচি বলেন, ‘জাপানে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জোগান দেন কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারীরা। তবে চাহিদার তুলনায় জাপানের ভোজ্যতেল উৎপাদনের সক্ষমতা কম। যেহেতু জাপানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে, আমরা এখান (বাংলাদেশ) থেকে অপরিশোধিত কুঁড়ার তেল নিতে চাই।’
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সুদান জিনিং কটন কোম্পানির বিজনেস অ্যাসোসিয়েট গাজী মাহমুদ কামাল বলেন, কুঁড়ার তেলের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব। ধান দেশের প্রধান ফসল এবং স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত কাঁচামালও রয়েছে। ফলে কুঁড়ার তেলের অনেক বাজার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দেশে কুঁড়ার তেল উৎপাদন করছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা তুলনামূলক কম। সে ক্ষেত্রে আমরা রপ্তানি বাজার নিয়ে ভাবতে পারি।’
অবশ্য স্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীরা বলেছেন, অপরিশোধিত কুঁড়ার তেল রপ্তানি করা হলে দেশে তেলের কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেল রপ্তানির বিপক্ষে মত দেন তাঁদের কেউ কেউ।