এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : হঠাৎ পাল্টে গেল কাঁচামরিচের বাজার! এ যেন ঝোপ বুঝে কোপ মারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পুরোনো খেলা। বিশেষ করে নিত্যপণ্য নিয়ে এটি বারবার হয়ে আসছে। সামান্য বৃষ্টির ফোঁটা, উৎসবের ছুটি কিংবা আমদানির বিলম্ব—যে কোনো অজুহাতেই অসাধু ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে সিন্ডিকেট করে দাম আকাশচুম্বী করে দেন। আর তা যেন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি কাঁচামরিচ নিয়ে তেলেসমাতি করেছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় চাষ হওয়া কাঁচামরিচ ১২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা দরে কিনে ঢাকায় এনে দাম হাঁকিয়েছেন ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। টানা বৃষ্টির বাহানায় নিজেদের পকেট ভারী করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, প্রান্তিক কৃষকদের কাঁধে লোকসানের ভারটা নিতে হয়। তাদের মুনাফা খেয়ে ফেলে সিন্ডিকেট চক্র।
দেশের যেসব জেলায় কাঁচামরিচ চাষ হয়—এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বগুড়া, গাইবান্ধা এবং রংপুর অন্যতম। এ ছাড়া আরও কিছু জেলায় অল্প পরিমাণে কাঁচামরিচের চাষ হয়।
দেশের এসব জেলায় কাঁচামরিচ কয়েক দিন আগে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ২০০ টাকা দরে, যা সাধারণত আরও কম দাম থাকে। কিন্তু এই মরিচ ঢাকায় আসতে আসতে দাম বেড়ে দিনের ব্যবধানে হয়ে যায় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। মূলত আমদানি বন্ধ, বৃষ্টি আর পচনশীল পণ্য—এসব কথা বলে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ফলে দিন শেষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাধ্য ক্রেতারা বাড়তি দাম দিয়েই কেনেন।
রাজধানীর বর্তমান চিত্র: এক সপ্তাহ আগে বৃষ্টির বাহানায় কাঁচামরিচের দাম হুহু করে বেড়ে উঠে যায় ৩২০ টাকা কেজিতে। এরপর এই দর টানা যে কয়েকদিন বৃষ্টি ছিল, সেই কয়েকদিন স্থায়ী হয়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কিছুটা কমেছে।
গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায়। তবে এই দামকেও অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা। তাদের ভাষ্য, মরিচের দাম আরও কম হওয়া উচিত। প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা বা আরও কম হলে স্বাভাবিক বলা যায়। কোনো বাহানায় দাম বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন ক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারের বেশ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় সরবরাহ কমে যায়। আর এতে স্থানীয়ভাবে দাম কিছুটা বেড়েছিল। ফলে বাধ্য হয়েই তাদের দাম বাড়াতে হয়। বিভিন্ন অজুহাতের কথা অস্বীকার করেন তারা।
শ্যামবাজারে আসা সোহাগ মিয়া নামে একজন ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা যে কোনো অজুহাত পেলেই সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। বৃষ্টি, আমদানি বিলম্ব, উৎসব, পচনশীল দ্রব্য—এসব বলে তারা অজুহাত তৈরি রাখেন। আর দিন শেষে পকেট কাটেন আমাদের। আজকেও (গতকাল) ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনেছি। অথচ কয়েকদিন আগেও দাম ছিল ১৫০ টাকা কেজি। হঠাৎ করেই তারা দাম বাড়িয়ে বিপাকে ফেলে দেয় আমাদের।
সূত্রাপুর বাজারের আরেকজন ক্রেতা আজিম চৌধুরী বলেন, ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত তদারকি না থাকায় পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে সিন্ডিকেট গঠন করেন। স্থানীয় উৎপাদন কম থাকলে তারা ভারতীয় মরিচ আমদানিকে অতিরিক্ত দামের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেন।
দাম বাড়ে কীভাবে: দেশে বা বিদেশে, কোনো ইস্যু পেলেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অপেক্ষায় থাকেন যে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর। তবে কাঁচামরিচ পচনশীল পণ্য হওয়ার পরও তা নিয়েও থেমে থাকে না অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফার খেলা। বৃষ্টি হোক বা আমদানি বন্ধ থাকুক—সরবরাহ সংকটের কথা বলে বগুড়ার কৃষক থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে কিনে আনা কাঁচামরিচ রাজধানীতে ৩২০ টাকায় বিক্রি করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এরপর সপ্তাহখানেক বাড়তি দামে বিক্রি করে তাদের পকেট ভারী করে যখন চতুর্দিকে আলোচনা শুরু হয়, তখন ধীরে ধীরে দাম কমিয়ে দেন। এ ছাড়া পচনশীল হওয়ায় বেশি দিন রেখে মজুতও করতে পারেন না। তবে এই ফাঁকে ভোক্তাদের পকেট কেটে নিজেদের পকেটে মুনাফা ভরে নেয় সিন্ডিকেট চক্র।
আমদানি কমার অজুহাতেও বাড়ে দাম: গাইবান্ধা জেলার সাঘাটায় কাঁচামরিচের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে উঠে যায় ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। পূজা উপলক্ষে ভারতীয় মরিচের আমদানি কম থাকায় গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি এ দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে কাঁচামরিচ আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় বাজারে সরবরাহও স্বাভাবিক হয়েছে। দাম নেমে এসেছে ১২০ টাকা কেজিতে।
সাঘাটা বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন জানান, ভারতীয় পণ্য না আসায় দাম কিছুদিন বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সরবরাহ ভালো থাকায় বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে।
ভরতখালীসহ আশপাশের হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানীয় ক্ষেতের মরিচ বাজারে উঠবে। ফলে দাম আরও কিছুটা কমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটর চলছে।
সর্বোচ্চ দাম কত এবং কবে উঠেছিল: ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশের ইতিহাসে কাঁচামরিচের দাম সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছিল। সে সময় ঈদুল আজহার আগে মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কিছু স্থানে মরিচের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যায়, যা সরবরাহ সংকট তৈরি করে।
এই পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন, যা ভোক্তাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সরকারি হস্তক্ষেপের পরও দাম নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে কাঁচামরিচের দাম আবারও ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠে যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে। ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ায় সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে, ফলে দাম বেড়ে গিয়েছে।
১২০ টাকার মরিচ ৩০০ টাকায়: দেশের বগুড়া জেলা কাঁচামরিচের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে যখন মরিচের ঝাঁজ বাড়তে শুরু করে, তার প্রভাব এখানেও পড়ে। ভারতীয় মরিচের দাম কিছুটা কমতি হলেও দেশি মরিচের দাম বাড়তিই রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরের সবচেয়ে বড় সবজি মোকাম বগুড়ার মহাস্থানগড়ে দেশি মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। অথচ তিন-চার দিন আগেও মহাস্থানে পাইকারি বাজারে সেই কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
মূলত লাগাতার বৃষ্টিতে মরিচগাছের ব্যাপক ক্ষতি এবং পূজার কারণে ভারতীয় মরিচের আমদানি বন্ধ থাকায় মরিচের ঝাঁজ বেড়ে দাম আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়ায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত খরিপ-২ মৌসুম। এ সময়ে সামান্য কিছু জমিতে মরিচ চাষ হয়। এবার খরিপ মৌসুমে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। সেখানে চাষ হয়েছে ৯৭৬ হেক্টর জমিতে। তাতে উৎপাদন ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। এই মরিচ বাজারে আসতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন লাগতে পারে। তবে গত রবি মৌসুমে বগুড়ায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার টন। এবার এখনো রবি মৌসুম শুরু হয়নি। এজন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি। তবে কৃষি বিভাগ ধারণা করছে, প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমি মরিচ চাষের আওতায় আসবে।
মহাস্থানগড় হাটের ব্যবসায়ী রিফাত ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল হান্নান জানান, বাজারে প্রচুর কাঁচামরিচের চাহিদা থাকার পরও সরবরাহ কম। এজন্য দাম বেশি। বর্ষার কারণে মরিচের গাছ পচে নষ্ট হওয়ায় ফলন হচ্ছে না। এজন্য আমাদের বাড়তি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে।
গরিব কৃষকের মুনাফা বেপারির পকেটে: কৃষকদের থেকে অল্প দামে কাঁচামরিচ কিনে তা নিজেদের ইচ্ছামতো বেশি দামে বেপারিরা বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। আর সেই মরিচ বেপারি এনে বিক্রি করছেন চড়া দামে। এতে কৃষকরা যেমন ঠকছেন, তেমনি পকেট কাটা যাচ্ছে ভোক্তাদের।
উপজেলার মরিচ ও সবজিখ্যাত এলাকা তারাপুর, চরবিরহিম, ভাটিরচর, চরকিসামত সদর, বেকরিরচর ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিপাতে মড়ক ধরে শুকিয়ে গেছে মরিচের গাছ। একই সঙ্গে গাছ বুড়ো হওয়ায় ফলন কমেছে। ফলে কৃষকরা তুলে ফেলেছেন মরিচ ক্ষেত থেকে। আর তুলে ফেলা ওই জমিতে আবার আগাম চাষ করেছেন হাইব্রিড জাতের মরিচ।
চরকিসামত সদরের কৃষক লেবু মিয়া বলেন, যে মরিচ লাগিয়েছিলাম, তা আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে শেষ হয়েছে। গাছ তুলে ফেলে ৪৫ দিনে মরিচ ধরে—এমন হাইব্রিড জাতের মরিচ লাগিয়েছি। কোনো কোনো গাছে ফুলও এসেছে। আকাশ ভালো থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে ফলন আসবে।
আরেক কৃষক জহির উদ্দিন বলেন, ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি মরিচ তুলতে ৫ টাকা দেওয়া হয় শ্রমিকদের। আর এক কেজি শুকনো মরিচ করতে লাগে ৫-৬ কেজি পাকা মরিচ। বিক্রি করেছি ৪ হাজার টাকা মণ। এতে প্রতি কেজি মরিচের দাম দাঁড়ায় ১০০ টাকা। আর বাজারে সেই মরিচ বেপারিরা কিনে বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা কেজি। কষ্ট করি আমি, আর মুনাফা খায় বেপারি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবির বলেন, গ্রীষ্মকালীন মরিচ এখন শেষ পর্যায়ে। ১৬ অক্টোবর থেকে কৃষকেরা লাগাবেন শীতকালীন মরিচ। তবে কিছু কিছু চরের কৃষকরা হাইব্রিড জাতের মরিচ আগাম লাগিয়েছেন। আশা করি, মাসখানেকের মধ্যে বাজারে নতুন মরিচ ওঠা শুরু করবে। আর তখন দামও কমে আসবে।
বাজার ঘুরলেই বেড়ে যায় দাম: গাইবান্ধা পুরাতন বাজারসহ বেশ কিছু বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা ছাড়াই কাঁচামরিচা বিক্রি হচ্ছে। ১৬০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
পুরাতন বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আব্দুল হাকিম কালবেলাকে বলেন, কাঁচামরিচ কিনতে আসছি। এখানে তো দাম কমেই না। গত দুই দিন আগে ১৬০ টাকা দিয়ে এক কেজি মরিচ কিনেছি। এখন বাজারে ২০০ টাকা কেজি। আবার অন্য বাজারগুলোতে আরও বেশি টাকা নিচ্ছে। বাজার ঘুরলেই ভিন্ন ভিন্ন দাম। যে যার মতো দাম নিচ্ছেন। ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত অভিযানের অভাবে বাজারে এখনো স্বস্তি ফেরেনি।
এদিকে কাঁচামরিচ বিক্রেতা সাইফুল হোসেন বলেন, আমদানি কম হওয়ায় গত সপ্তাহে দাম বেড়েছিল। তবে দাম স্বাভাবিক আছে। সামনে আরও কমে যাবে।
গাইবান্ধা জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো প্রকার দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠলে অভিযান করা হবে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এম এ আশিক বলেন, কাঁচামরিচের নির্ধারিত দাম ১২০ টাকা। এই দামেই বিক্রেতাদের বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। বাজার তদারক সংস্থাগুলো সক্রিয় থাকলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার সুযোগ পেতেন না। তাই তাদের ঠিক রাখতে তদারকি আরও বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি আমাদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন দরকার।