এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রেকর্ডভুক্তকরণ এবং নামজারি সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা প্রদান করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে রাজউকের সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) শেখ মতিয়ার রহমান একটি নোটিশ জারি করেছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৪২ ধারা এবং তৎসহ ১১৬ ও ১১৭ ধারার বিধান অনুযায়ী ভূমির মালিকানা হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। ভূমি হস্তান্তর বা মৃত্যুজনিত কারণে মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কেবল রেকর্ড হালনাগাদ করা হয় এবং এ ক্ষেত্রে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র তার গৃহীত, বাস্তবায়িত প্রকল্পের আওতাধীন বরাদ্দকৃত প্লট, ফ্ল্যাটের রেকর্ডভুক্তকরণ এবং নামজারীর অনাপত্তিপত্র প্রদান করে থাকে।
সেবার মানোন্নয়ন ও নামজারির প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে রেকর্ডভুক্তকরণ, নামজারি সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নির্দেশক্রমে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার নির্দেশনা প্রদান করে বলা হয়, রেকর্ডভুক্তকরণ, নামজারির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নথিতে বিদ্যমান অথবা আবেদনকারীর দাখিলকৃত দলিলানি ও প্রমাণক যাচাইপূর্বক নিষ্পত্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে (ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত) সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের হাজিরা গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
উত্তরাধিকারসূত্রে রেকর্ডভুক্তকরণের ক্ষেত্রে লিজ গ্রহীতার (সর্বশেষ মালিক) আদালত কর্তৃক সাকসেশন, উত্তরাধিকার সনদ দাখিলের প্রয়োজন হবে না। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তর (ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন) কর্তৃক প্রদত্ত উত্তরাধিকার সনদ অনুসারে আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে প্রয়োজনে উক্ত উত্তরাধিকার সনদের সঠিকতা যাচাই করা যেতে পারে।
উত্তরাধিকার সনদ অনুযায়ী যে কোনো একজন উত্তরাধিকারী আবেদন করলেই সব ওয়ারিশদের নামে রেকর্ডভুক্তকরণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সব উত্তরাধিকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন এবং সত্যায়িত ছবি দাখিল করতে হবে। উত্তরাধিকার সনদে উল্লিখিত সব উত্তরাধিকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়।
লিজ দলিল সম্পাদনের পূর্বে মূল বরাদ্দগ্রহীতার মৃত্যুজনিত কারণে সংশোধিত বরাদ্দপত্র ইস্যু করার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। উত্তরাধিকার সনদসহ দাখিলকৃত যে কোনো দলিলাদিতে তদাগত ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে এর দায় সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী এবং সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডভুক্তকরণ, নামজারি বাতিল বলে গণ্য হবে।
আবেদনকারী, আবেদনকারীদের দাখিলকৃত তথ্য এবং দলিলাদির ফলে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে তার দায়। রাজউকের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীর ওপর বর্তাবে না। সংশ্লিষ্ট সেবামূল্য ও পরিশোধ পদ্ধতি পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।