এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গুম ও নির্যাতনের ২ মামলার আসামি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (সিটিআইবি) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদের বিদেশে পালানো ঠেকাতে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা সদর।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ কথা জানান।
মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, মেজর জেনারেল কবির আত্মগোপনে গেছেন। তিনি যাতে বিদেশে চলে যেতে না পারেন, সেজন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
কবীর আহাম্মদের বিষয়ে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলা হয়েছে যেন তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১- এ গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার অন্যতম আসামি সিটিআইবির সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ।
প্রসঙ্গত, গুমের ২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গেলো ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কারণ দেশের ইতিহাসে চাকরিরত অবস্থায় এত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এটাই প্রথম।
আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
এরইমধ্যে ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে সেনা সদর।