সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:১৪:৫৬

সৌদি উদ্যোক্তারা এতোটাই অভিভূত যে এবার যা নিতে চান বাংলাদেশ থেকে!

 সৌদি উদ্যোক্তারা এতোটাই অভিভূত যে এবার যা নিতে চান বাংলাদেশ থেকে!

রুহুল আমিন, একাত্তর : তৈরি পোশাক খাতের উন্নতিতে সৌদি আরবের উদ্যোক্তারা এতোটাই অভিভূত যে পণ্য নয় বরং বাংলাদেশ থেকে কারখানা নিতে চান তারা। তাদের লক্ষ্য, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি পোশাকের ব্যবসা সম্প্রসারণ করা। বিজনেস সামিটের অংশ হিসেবে কারখানা পরিদর্শন করে একাত্তরের কাছে এমন চিন্তাভাবনার কথা জানান সৌদি ব্যবসায়ীরা।

নানা চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনীতির অন্যতম লাইফ লাইন তৈরি পোশাক খাত। দেড় শতাধিক কারখানা পেয়েছে পরিবেশবান্ধব সনদ। বহুলাংশে বদলেছে কর্মপরিবেশ। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নেও উদ্যোগ বাড়াচ্ছেন কারখানা মালিকরা।   

গত শুক্রবার নরসিংদীতে এমনই কিছু কারখানা পরিদর্শন করেন ব্যবসা সম্মেলনে অংশ নেয়া সৌদি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ডক্টর খালিদ আল হারবি। ঘুরে দেখেন আমানত শাহ গ্রুপের বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা-ইটিপি এবং সুতা থেকে কাপড় উৎপাদনের নানা ধাপ। কাজের পরিবেশ, প্রক্রিয়া, কাপড়ের মানে সন্তুষ্ট হন তিনি। পুরো উপসাগরীয় এলাকায় ব্যবসা বাড়াতে প্রস্তাব দেন সৌদিতে কারখানা স্থাপনের। 

ডক্টর খালিদ আল হারবি বলেন, আমি কিছু কারখানা দেখলাম। পণ্য আমদানি করতে চাই না। এই কারখানাটাই নিতে চাই। কারণ এখানে অসাধারণ কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশ মূলত ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানি করে। আমাদের চেম্বার গালফ এরিয়ায় রপ্তানি বাড়াতে গুরুত্ব দেবে। কারণ সেখানে খুব ভাল সম্ভাবনা আছে। 

সৌদি ব্যবসায়ীদের এমন চিন্তাভাবনায় অনুপ্রাণিত উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্য হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বিকল্প বাজার। তবে ওই এলাকার মানুষের পোশাকের ধরন বিবেচনায় দরকার হতে পারে নতুন বিনিয়োগ। 

বছরে প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে সৌদি আরব একাই। মধ্যপ্র্যাচ্যের অন্য দেশগুলোরও পোশাকের চাহিদা পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বাজার ধরতে সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ ও নিবিড় পদক্ষেপ দরকার।-একাত্তর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে