এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামায়াত আমিরের জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ রবিবার সকাল ৯টায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আমিরের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের মেডিক্যাল থানা জামায়াতের আমির ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. লোটজ জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থা জানতে চান এবং দ্রুত সুস্থতার কামনা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নারীসমাজের অধিকার রক্ষা, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য জার্মানির অব্যাহত সমর্থনের প্রত্যাশা জানানো হয়।
দু’পক্ষই মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, টেকসই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এদিকে গতকাল সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা অন্ধভাবে সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে দেশে গুম ও খুনের ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা খুনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী নিয়ে জনগণ গর্বিত থাকতে চায়। তবে কিছু সদস্য মানবাধিকার ও দেশের আইনকে সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘কয়েকজনের অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে।’
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিচারপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতার ঘোষণা এসেছে এবং অভিযুক্তদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ‘আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই,’ বলেন তিনি।
জামায়াত আমির আশা প্রকাশ করেন, ‘করো প্রতি অবিচার করা হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এতে যেমন অতীতের দায় থেকে জাতি মুক্তি পাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করে জনস্বার্থের ক্ষতিসাধনে উৎসাহী হবে না।’