এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বেশ অনেক দিন ধরেই বড় এক ভূমিকম্পের ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছিল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ব-দ্বীপ বাংলাদেশে। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ঢাকা, কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা কিংবা এর পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত।
তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বারবার এ নিয়ে আলোচনা হলেও বাস্তবে প্রস্তুতির তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
বাংলাদেশের ভেতরে বা আশপাশে প্রায়ই ছোট থেকে মাঝারি ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছে, যা জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতি করছে। দেশের ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এই শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ভূমিকম্পবিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতারের মতে, দেশের অভ্যন্তরে তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল বাংলাদেশকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
বড় কোনো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঢাকার পরিস্থিতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারি। তার গবেষণা অনুযায়ী, একটি বড় ভূমিকম্পে রাজধানীর প্রায় অর্ধেক ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতায় বাংলাদেশ বহু পিছিয়ে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেনের মতে, ‘ভূমিকম্পের বড় দুর্যোগ মোকাবিলার ২০ ভাগ সক্ষমতাও নেই বাংলাদেশের।’
যদিও ফায়ার সার্ভিস বলছে, তারা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মাথায় রেখে নতুন কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য তারা নিজেদের প্রস্তুত করছেন। বিশেষজ্ঞরা এমন দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পরিকল্পিত ও ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়ন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।