শনিবার, ০৫ মার্চ, ২০১৬, ০২:৫৫:২১

বিএনপির কাউন্সিলে খাবার মোরগ পোলাও

বিএনপির কাউন্সিলে খাবার মোরগ পোলাও

নিউজ ডেস্ক : আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে আগত কাউন্সিল ও ডেলিগেটদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘মোরগ পোলাও’ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ্যায়ন উপ-কমিটি। গতকাল আপ্যায়ন উপ-কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে কাউন্সিলের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও চেয়েছে বিএনপি। নেতা-কর্মীদের জায়গা সঙ্কুলান হবে না— এমন শঙ্কা থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বরাদ্দ চেয়ে গণপূর্ত অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল বিএনপির দফতর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী এ আবেদন করেন। আবেদনের একটি অনুলিপি ঢাকা মহানগর পুলিশকেও (ডিএমপি) দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় খাবারের মেন্যু নিয়ে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভার পর আবদুস সালাম সাংবাদিকদের জানান, ১৯ মার্চ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে আমন্ত্রিত কাউন্সিলর,  ডেলিগেট ও নেতা-কর্মীদের আমরা দুপুর ও বিকালের খাবারের মেন্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা দুপুরে মোরগ পোলাও পরিবেশন করব। এটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বিশেষ খাবার হিসেবে পরিচিত। মোরগ পোলাওয়ের সঙ্গে আলুও দেওয়া হবে।’

কাউন্সিলরদের জন্য সার্বক্ষণিক চা-কফি ও পানির সুব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিলের খাবার কয়েকটি স্থানে রান্না করে সম্মেলনস্থলে এনে সরবরাহ করা হবে। এই কাজে মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলের জন্য এই জায়গা যথেষ্ট নয়। আমরা খুব সীমিত জায়গা পেয়েছি। এর যে ধারণক্ষমতা আপনারা সহজেই অনুমান করতে পারেন। এ জায়গায় আমাদের কাউন্সিল করা খুবই কষ্টসাধ্য। এর মধ্যেই গণপূর্ত বিভাগ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে জানিয়ে দুটি জায়গাকে পাশাপাশি ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চান এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে উদ্বোধনীসহ কাউন্সিলের মূল অনুষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ক্যাম্পাসের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আগত ডেলিগেট ও কাউন্সিলর অথবা দলের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা বসার জায়গা পাবে। যদি না পায়; তাদের সংখ্যা যদি বেশি হয়ে যায়, তাহলে দেখা যাবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের রাস্তাটা ব্লক হয়ে যাবে। তাতে জনগণের অসুবিধা হবে। রাস্তাটা যাতে জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকতে পারে তা সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সকাল ১০টায় কাউন্সিলের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ ও মিলনায়তন পরির্দশন করেন বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি উপ-কমিটিগুলোর আহ্বায়করা। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহ, শফিক  রেহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, সরকারের কাছে দাবি একটাই কাউন্সিলের ব্যাপারে কোনো রকম বাধা সৃষ্টি না করা। এবারের কাউন্সিলের কাউন্সিলের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন শৃঙ্খলা ও সেবা উপ-কমিটির আহ্বায়ক হান্নান শাহ। ১৫ মার্চ থেকে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত দলের প্রধানসহ স্বেচ্ছাসেবকদের তিন দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

হান্নান শাহ বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আস্থা আছে বলেই বলছি, আমরা ১৯ মার্চ যে কাউন্সিল হবে তাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করব। নিরাপত্তায় দায়িত্বরতরা প্রধান ফটকে সবাইকে চেক করে ঢুকাবে। আমাদের মোবাইল টিম থাকবে। নিরাপত্তা কাজে আমরা সর্বাধুনিক ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব। যেহেতু আমাদের কাছে ‘বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড’ নেই। সরকারের কাছ থেকে যোগাযোগ করে আমরা সেগুলো নেব।’

খালেদা-তারেকের মনোনয়নপত্র জমা : বিএনপির আসন্ন কাউন্সিলে চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। আর কেউ মনোনয়নপত্র না  নেওয়ায় দলের দুই শীর্ষ পদে মা-ছেলের থেকে যাওয়া নিশ্চিত হয়েই আছে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার নির্বাচনী এজেন্ট রুহুল কবির রিজভী এবং তারেক রহমানের পক্ষে তার নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ শাহজাহান দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার নজরুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্রে খালেদা জিয়ার বয়স লেখা হয়েছে ৬৯ বছর, তারেকের ৫০। দুজনেরই ঠিকানা দেওয়া হয়েছে গুলশানের ৭৯ সড়কের ফিরোজা বাসভবন।

তারেক রহমানের স্বাক্ষর সংবলিত মনোনয়নপত্র সকালে তার নির্বাচনী এজেন্টের কাছে পৌঁছানোর পর সেগুলো পূরণ করা হয়। চেয়ারম্যান পদে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আর সমর্থক হিসেবে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রুহুল আলম চৌধুরীর সই রয়েছে। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে রয়েছে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম। সমর্থন করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। -বিডি প্রতিদিন
৫ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে