এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের টানা আন্দোলনের মুখে বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দুই পক্ষের মধ্যে ‘সমঝোতা’ হওয়ায় আন্দোলন আপাতত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলন স্থগিতের প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষক নেতারা।
শিক্ষক নেতারা জানান, আপাতত সরকারের সিদ্ধান্তে তারা খুশি। এজন্য আন্দেলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাবেন তারা। শহীদ মিনারে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এ ঘোষণা দেবেন।
তবে চিকিৎসাভাতা ১৫০০ টাকা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার বিষয়টি সরকারকে গুরুত্বসহকারী বিবেচনা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষক নেতার।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। সেখানে ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়ার সিদ্ধান্তে ঐকমত্য হয় উভয়পক্ষ। এরপর দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতিপত্র দেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসার সই করা চিঠিতে এ সম্মতি দেওয়া হয়। এতে আগের (১৬ অক্টোবর) সম্মতিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সম্মতিপত্রে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের আগামী ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন। আর আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা যুক্ত হবে। সবমিলিয়ে ১৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হবে।
টানা ১০ দিনের আন্দোলনের মুখে সরকার ১৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্মত হওয়ায় খুশি শিক্ষকরা। যদিও তারা ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দাবি করে আসছিলেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে এটিকে বিজয় হিসেবে দেখছেন শিক্ষক নেতারা।