এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে, মেট্রো দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালাম নাকি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর নমিনি করে গেছেন তার বোনদের। এটাও শোনা গেছে যে, আবুল কালামের দাফনের পরেই তার বোনরা চোখ উলটে ফেলেছেন, এমনকি আবুল কালামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটাও স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়াকে দেয়নি বোনরা।
গতকাল অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে আবুল কালামের ব্যাংক নমিনি বোনদের করে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে? আসলেই কি তাই?
তবে আবুল কালামের স্ত্রী ও বোনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এসব বানোয়াট কথাবার্তা সামাজিক মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কেননা পিয়া কোথাও এ বিষয়ে কথাই বলেননি।
এ বিষয়ে আইরিন আক্তার পিয়া জানান, তিনি এসব কিছুই জানেন না, নমিনির বিষয়ে তিনি কারো সঙ্গে কথা বলেননি।
এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে কেউ তার সঙ্গে কথা বলেনি। পিয়া বলেন, ‘তার জানামতে কালামের তিনটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছিল। তবে এসব ব্যাংকে কত টাকা রয়েছে, তা তিনি জানেন না। এবং এসব ব্যাংকের নমিনি কে, তা-ও তিনি বলতে পারবেন না।
বিষয়টি নিয়ে কালামের স্ত্রী আইরিন যেমন বিব্রত তেমনই বিব্রত তার বোনরাও। আবুল কালামের ছোট বোন লাইজু আক্তার বলছেন, ‘আমার ভাই বিয়ের আগে যেসব অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, সেখানে বোনদের নমিনি করেছেন। কিন্তু বিয়ের পর আমরাই বলে তার নমিনি পরিবর্তন করেছি। আমার ভাইয়ের জমি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নমিনি তার স্ত্রী। বোনদের নমিনি রাখার কথা ভুল তথ্য। অথচ এ তথ্যই ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।’
পিয়া জানান, ‘তার স্বামীর মৃত্যুর পর মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার ব্যবহার করা মোবাইল, পাসপোর্ট এবং সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জে বসে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আইরিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার স্বামীর মরদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর তার পরিবারের সদস্যরা তেজগাঁও থানায় গেলে পুলিশ কালামের ব্যবহৃত সব জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেয়। এ সময় তার মোবাইলটিও বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’
জিনিসপত্রগুলো আবুল কালামের ছোট বোন লাইজু আক্তারের কাছে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান আইরিন। পিয়া বলেন, ‘কালামের ফোন তিনি হাতে পেয়েছেন।’
ব্যাংক হিসাবের নমিনি কে, তা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য। কোনো অবস্থাতেই অন্য কারো কাছে সেই তথ্য প্রকাশ করে না ব্যাংকগুলো। ফলে ব্যাংকের মাধ্যমে কালামের ব্যাংক হিসাবের নমিনি কে, তা জানা সম্ভব হয়নি।