শনিবার, ০৫ মার্চ, ২০১৬, ০৫:১৪:২৯

জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক না : ওবায়দুল কাদের

 জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক না : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক না, পাঠক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে ঢাকার আশপাশের জেলার নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে কথা ওঠে- এ ঘোষণার ম্যানডেট কিন্তু ৭০ সালের নির্বাচনে জাতি দিয়েছিল।  এ অধিকার অন্য কারো ছিল না।  পাঠক অনেকেই হতেই পারেন, ঘোষক হতে পারেন না।  মরহুম জিয়াউর রহমান নিজেই বলেছিলেন, আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, এ রকম ঘোষণা এমএ হান্নানও দিয়েছিলেন।  তবে সেদিন জিয়াউর রহমানের ঘোষণার যে একটা তাৎপর্য ছিল না, সেটা আমরা অস্বীকার করবো না।  তিনি ঘোষণার পাঠক ছিলেন, ঘোষক ছিলেন না।  এ দাবি তিনি বোধহয় কোনোদিন করেননি।  তার মৃত্যুর পর তার দল হয়তো দাবি করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মরহুম জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পর বিচিত্রা এবং দৈনিক বাংলায় একটা নিবন্ধ লিখেছিলেন।  সেই নিবন্ধে তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণে আমরা স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গিয়েছিলাম।  দুর্ভাগ্য, আজ জিয়াউর রহমানের দল ৭ মার্চ পালন করে না।  

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সেই ঘোষণা হয় ২৫ মার্চে।  এ নিয়ে তো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করা যাবে না।  আমরা ৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি।  সরকার গঠনের অধিকার কেবল আমাদের।  নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এবং নির্বাচিত দলের নেতা হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণার অধিকার কেবল বঙ্গবন্ধুর ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ সভা স্থগিত হওয়ার পর হোটেল পূর্বানীতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিল, আপনি কি এ মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে চান?  দু’টি সময়ে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন।  তিনি বলেছিলেন- নট ইয়েট।

এক-এগারোর কুশীলবদের সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, কেঁচো খুড়তে গেলে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসবে।  এক-এগারো সম্পর্কে আমাদের আরো গবেষণা করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন গ্রেপ্তার তো অনেকেই হয়েছিল।  প্রথম গ্রেপ্তার হওয়ার কথা ছিল, সরকারি দলের নেতাদের।  কিন্তু প্রথমেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আমাদের নেত্রী।  তাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেটা জাতি দেখেছে।  

তিনি বলেন, ভোর বেলা তাকে পোশাক পরিবর্তন করতে দেয়া হয়নি।  কোর্টে কীভাবে তাকে টানা-হেঁচড়া করা হয়েছে- এ দেশের মানুষ কি ভুলে গেছে? আমাদের অনেক কষ্ট আছে। কিন্তু দেশের স্বার্থে অনেককেই ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় বলতে পারি- ক্ষমা করে দিয়েছি, কিন্তু ভুলে যাইনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ।
৫ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে