এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করেছে পে কমিশন। গত ৩০ অক্টোবর শেষ হয় কমিশনের এ মতবিনিময় পর্ব।
বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠন কমিশনের কাছে নিজেদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন পে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তারা গ্রেড সংখ্যাও কমানোর প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণের। একইসঙ্গে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে ১২টি করা হোক।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে পে স্কেল হয়েছে, ২০২০ সালে হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। এ কারণে কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিয়মিত হলে ২০২০ সালে বেতন দ্বিগুণ হতো এবং ২০২৫ সালে তা ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছাত।
আব্দুল মালেক বলেন, বর্তমানে বেতন বৈষম্য রয়েছে ১:১০ অনুপাতে, যা কমিয়ে ১:৪ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা চাই, এই বৈষম্য কমে আসুক। পে স্কেল সাধারণত ৫ বছর পর পর হওয়া উচিত, কিন্তু ২০২০ ও ২০২৫ দুটি সময়েই তা হয়নি। এতে সরকারি কর্মচারীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সম্প্রতি পে স্কেল নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার জানান, পে-কমিশন খুব সম্ভবত আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে প্রতিবেদন দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যে ইঙ্গিত পাচ্ছি তাতে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কিংবা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হতে পারে।
গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। বেতন কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। নতুন বেতন স্কেল আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই কার্যকর হতে পারে নতুন বেতন স্কেল। সে হিসাবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা।