এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এ জাতি নতুন করে স্বাধীনতার মুখ দেখেছে। ১৬ ডিসেম্বরের স্বাধীনতায় জাতির মুক্তি হয়নি, সেখানে আওয়ামী লীগের মুক্তি হয়েছে। আর জাতির মুক্তি হয়েছে ৭ নভেম্বর।’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’-এর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর যারা সরকার গঠন করলেন, তারা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে জাতি মনে করতেন না। তারা নিজেদের ছাড়া আর কারো অধিকার নিয়ে কাজ করেননি। তারা সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দিলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে নিলেন, এক ঘোর অন্ধকারের মধ্যে সবাইকে নিয়ে গেলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা ক্ষমতায় আসলো, তারা শেখ মুজিবেরই একটি অংশ।
এই পাল্টা-পাল্টির মধ্যেই জনগণ তার মুক্তির দিশারি হিসেবে ৭ নভেম্বরে একজন মানুষ পেলেন। তিনি ৭১-এর মতো ৭ নভেম্বরেও জাতির দিশারি হিসেবে কাজ করেছেন।’
বিএনপির এই প্রবীন নেতা বলেন, ‘বাহাত্তর সালে যারা ক্ষমতায় নিলেন, তারা আমাদের আত্মপরিচয় নিয়েও সংকট তৈরি করেছিলেন। তারা যে জাতীয়তার কথা বলেন, সেটি বিতর্কিত জাতীয়তা। একটি আঞ্চলিক পরিধিতে এটি গণ্য হতে পারে না।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘তারা নিজেদের কথা বলার অধিকার ছাড়া আর কারো কথা বলাকে একদমই পছন্দ করতো না। তবুও তারা নির্ভয় হতে পারেনি। সব দল বন্ধ করে দিল, সংবাদপত্র, লেখার, পড়ার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে দিল। এরপর ঘটলো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের পালাবদল।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদন নাসির উদ্দিন নাসির ও ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহসসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।