এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভূমি ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি-বেসরকারি জমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে নতুন কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
সরকারি পরিপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রচলিত নীতি ‘দলিল যার, ভূমি তার’ সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই বৈধ দলিল থাকলেও মালিকানা বা দখলের আইনগত ভিত্তি থাকে না।
এই নতুন নির্দেশনার আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ ধরনের জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হবে, সেগুলোর প্রধান পাঁচটি ধরন হলো—
সাব-কবলা দলিল: উত্তরাধিকার বণ্টন না করে তৈরি করা দলিল, যার মাধ্যমে কোনো বৈধ ওয়ারিশকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
হেবা দলিল: দাতার সম্পূর্ণ মালিকানা না থাকা বা দানের শর্ত ভঙ্গ করার কারণে তৈরি হওয়া দলিল।
জাল দলিল: সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির মাধ্যমে তৈরি করা জাল দলিল ব্যবহার করে দখল করা সম্পত্তি।
খাস খতিয়ানের সম্পত্তি: সরকারি খাস জমি যা অবৈধভাবে নিজের নামে বিক্রি করা হয়েছে।
অর্পিত সম্পত্তি: যুদ্ধ-পরবর্তী পরিত্যক্ত জমি যা ব্যক্তিগতভাবে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ধরনের জমি শুধু আদালতের রায়ের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা যেতে পারে। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের সম্পত্তি পুনরুদ্ধার এবং সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা।