রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৬:৫৫

এবার যে বড় পরিবর্তন ভূমি আইনে, এক ভুলেই জমি হয়ে যাবে সরকারের!

এবার যে বড় পরিবর্তন ভূমি আইনে, এক ভুলেই জমি হয়ে যাবে সরকারের!

সরকারিভাবে প্রস্তাবিত ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুযায়ী জমির মালিকানা এবং ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এই খসড়া অনুযায়ী, কোনো জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা টানা তিন বছর ধরে পরিশোধ না করলে, সেই জমি খাস বা বাজেয়াপ্ত করে নিতে পারে সরকার।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, জমির মালিকদের কিউআর কোড বা ইউনিক নম্বর সংবলিত একটি ‘ভূমি মালিকানা সনদ’ (সিএলও) দেওয়া হবে। এই সনদটিই হবে জমির চূড়ান্ত মালিকানার প্রমাণ এবং এটি খাজনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।

সরকারি আদেশ বা আদালতের নির্দেশে জমির মালিকানা হস্তান্তর হলে নতুন সনদ তৈরি করে খাজনা দিতে হবে। এছাড়া, জমির মালিকানা ও স্বত্ব নিয়মিত হালনাগাদ (আপডেট) করা হবে এবং এই হালনাগাদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি জমির মালিককেই বহন করতে হবে।

যদি কোনো ব্যক্তি জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি দখল করে, তবে তার জন্যও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের দুই বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জজরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে।

এছাড়া, সরকার জরুরি উন্নয়নমূলক কাজে কৃষিজমি নিতে পারবে, তবে দুই বা তিন ফসলি জমি নেওয়ার আগে বিশেষ অনুমতি আবশ্যক।

প্রস্তাবিত আইনে জমির শ্রেণিবিন্যাস সরকার অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না। ব্যক্তিমালিকানার এক বিঘা পর্যন্ত জমি পরিবর্তনের জন্য অনুমতি লাগবে না। অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।

সরকার ডিজিটাল ম্যাপ ও স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে জমির শ্রেণি নির্ধারণ করবে এবং অতিরিক্ত ক্ষতি বা অনাবশ্যক ব্যবহার রোধে নিয়ম বানাবে।

সেইসঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি চলাচলের পথ বন্ধ করে, তবে স্থানীয় সরকার বা আলোচনা মাধ্যমে ন্যূনতম পথ নিশ্চিত করতে হবে। রাজি না হলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রযোজ্য হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে