নিউজ ডেস্ক : এর আগে সংঘর্ষের কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। এরপর মিরপুরে আবার শুরু হয় টিকিট বিক্রি। কিন্তু মাত্র এক ঘণ্টাতেই ফুরিয়ে যায় সব টিকিট। ক্ষুব্ধ টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে আবারো সংঘর্ষ বাধে পুলিশের।
শনিবার সকালে ব্যাংকের শাখার সামনে ভিড় জমান হাজারো টিকিট প্রত্যাশী। বেলা ১২ টা থেকে টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এর মধ্যেই টিকেট নেই এবং জাল টিকেট বিক্রি হচ্ছে গুজব ছড়ালে বেলা পৌনে ১২টার দিকে লাইনে দাঁড়ানো টিকেট প্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিকিট প্রত্যাশীরা টিকিট বিক্রিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। এর পরপরই আসে টিকিট বিক্রি বন্ধের ঘোষণা।
পরে প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৪টার দিকে আবার টিকিট বিক্রি শুরু হয়। মিরপুর থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হোসেন বলেন, টিকিট বিক্রি শুরুর আগেই একপর্যায়ে ব্যাংকে ইট নিক্ষেপ এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর শুরু হয়। এতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করতে রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছে টাইগার ভক্তরা। শনিবার সকালে মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবিএল) ব্যাংকের শাখার সামনে ভিড় জমিয়েছে হাজারো ক্রেতা।
তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে জলকামান ও রায়োটকার বসিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় পুলিশ।
লাইনে থাকা বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, লাইনে থাকা টিকিট প্রত্যাশীদের ধীরে টিকিট দেয়া হলেও অনেকেই প্রভাবখাটিয়ে ব্যাংকারদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করেছে।
৫ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম